নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর রামপুরায় বাসের ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা আইনে মাইনুদ্দিন ইসলামের মা একটি মামলা দায়ের করেছেনে এবং বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনায় অজ্ঞাত আট শতাধিককে আসামি করে রামপুরা থানায় অপর মামলাটি করেছে পুলিশ।
রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বাসচাপায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন নিহত হওয়ার পর উত্তেজিত জনতা কয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে। একটি মামলায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন এবং অপরটিতে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। অপরদিকে নিহত শিক্ষার্থীর মা রাশেদা বেগম বাদী হয়ে নিরাপদ সড়ক আইনে একটি মামলা করেছেন। নিহত শিক্ষার্থীর মায়ের দায়ের করা মামলায় ঘাতক অনাবিল বাসের চালক সোহেল এবং হেলপার চাঁদ মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গণপিটুনির শিকার হয়ে চালক সোহেল এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন।
প্রসঙ্গত গত সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গ্রিন অনাবিল পরিবহণের বাসের চাপায় মাইনুদ্দিন নিহত হন। এ ঘটনায় রাতে সড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা। এ সময় ঘাতক বাসসহ আটটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও চারটি বাস।