আগামীকাল ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০২১’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ খাতকে সুসংহত ও গতিশীল করার উদ্যোগ নেন। বর্তমানে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ বস্ত্রশিল্প থেকে অর্জিত হচ্ছে। গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে বস্ত্রখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
রাষ্ট্রপতি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২১’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এবারের জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন, বাংলাদেশের উন্নয়ন’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথাযথ হয়েছে।
আবদুল হামিদ বলেন, বস্ত্রখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও পোশাক খাতের অগ্রগতিকে টেকসই করতে ‘বস্ত্র নীতি ২০১৭’ ‘বস্ত্র আইন ২০১৮’ এবং ‘বস্ত্রশিল্প (নিবন্ধন ও ওয়ানস্টপ সার্ভিস কেন্দ্র) বিধিমালা ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে। বস্ত্রশিল্পের ক্রমাগত উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে ‘পোষক কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে বস্ত্র অধিদপ্তর বস্ত্রশিল্প ও বায়িং হাউসের উদ্যোক্তাগণকে নিবন্ধনসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করছে।
এর পাশাপাশি বস্ত্রখাতের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে বর্তমানে ৮টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ১০টি টেক্সটাইল ইনিস্টিটিউট ও ৪১টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট পরিচালিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বস্ত্রখাতে দক্ষ জনবলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এ ধরনের আরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি পরিবেশবান্ধব বস্ত্রশিল্প স্থাপন, বস্ত্রখাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ এবং এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের ইতিহাস সুপ্রাচীন এবং গৌরবময়। ঢাকাই মসলিন ও জামদানি, টাঙ্গাইলের তাঁত, কুমিল্লার খাদি, রাজশাহীর সিল্ক এবং মিরপুরের বেনারসি শিল্প আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ সকল ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।