প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলো স্বপ্নের মেট্রোরেল। তবে এতে কোনো যাত্রী ছিল না।
আজ রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৯ মিনিটে এ রুটে পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়।সাড়ে তিন মাস আগে টেস্ট রান শুরু হলেও এতদিন ট্রেন চলাচল দিয়াবাড়ি থেকে কাছাকাছি চার-পাঁচটি স্টেশনে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে এবার সেই সংখ্যা বেড়ে ৯- এ পৌঁছাতে যাচ্ছে।
মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, ট্রেনের পরীক্ষামূলক চলাচলের জন্য উড়াল রেলপথ, বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন এবং স্টেশনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এ উপলক্ষে মেট্রোরেলের মূল অনুষ্ঠান হবে আগারগাঁও স্টেশনে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, আমরা প্রকল্পের পক্ষ থেকে আগেই ঘোষণা করেছিলাম, বিজয়ের মাসে আগারগাঁও পর্যন্ত পারফরম্যান্স টেস্ট পরিচালনা করব। ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে তা পরিচালনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান থাকায় সময়সূচি এগিয়ে মেট্রো ট্রেন চালানো হচ্ছে।
মেট্রোরেলের প্রজেক্ট ম্যানেজার এবিএম আরিফুর রহমান জানান, সকাল ৯টা ৩৯ মিনিটে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে মেট্রোরেল ছেড়ে দিয়েছি। এবারের মূল অনুষ্ঠান সেখানে (আগারগাঁওয়ে) হবে। আশা করছি ১১টায় আগারগাঁও স্টেশনে পৌঁছাবে মেট্রোরেলের কোচ।
জানা গেছে, পারফরম্যান্স টেস্টের অংশ হিসেবে এর আগেও ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫ কিলোমিটার গতিতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে চলাচল করেছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের দূরত্ব ১১ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার। আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ অংশে বাণিজ্যিক চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কর্তৃপক্ষ (ডিএমটিসিএল)।
মেট্রোরেলের প্রতি কোচে ৪৮ জন করে যাত্রী বসতে পারবেন। মাঝখানের চারটি কোচ হবে মোটরকার। এতে বসার ব্যবস্থা আছে ৫৪ জনের। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে যেতে পারবেন ৩০৬ জন। প্রতিটি কোচ সাড়ে ৯ ফুট চওড়া। মাঝখানের প্রশস্ত জায়গায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করবে।
দাঁড়ানো যাত্রীদের ধরার জন্য ওপরে হাতল এবং স্থানে স্থানে খুঁটি আছে। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে এবং দাঁড়িয়ে মিলিয়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩০৮ জন যাত্রী চড়তে পারবেন।