ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘বর্তমান যুগ কানেক্টিভিটির যুগ। নেটওয়ার্ক উন্নত না থাকলে, গতি উন্নত না হলে আমরা উন্নয়নে পিছিয়ে যাব। তাই দেশের প্রতি আমার ওয়াদা- আওয়ামী লীগ যত দিন ক্ষমতায় আছে, টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে আর পিছিয়ে যেতে দেব না।’

ডিজিটাল বাংলাদেশের বর্ষপূর্তির দিনে দেশ যুক্ত হলো মোবাইল নেটওয়ার্কের সবশেষ প্রযুক্তি ফাইভজিতে। রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসনে আজ রোববার রাতে ফাইভজি প্রযুক্তির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্ত হন তিনি।

সজীব ওয়াজেদ জয় তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ আর কোনো দিন পিছিয়ে থাকবে না। দেশের জনগণের কাছে এটা আমার ওয়াদা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ কেমন হবে, সেদিকে নজর রেখেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তাই যখন উন্নত দেশে মাত্রই ফাইভজি চালু হচ্ছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও ফাইভজি চালু করছি। কোনো দেশের চেয়ে আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না।’

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, ‘আজ আপনাদের মোবাইল সেক্টরে যাত্রার কথা একটু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে যখন প্রথম মোবাইল চালু হয়, তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। তারা মাত্র একটি কোম্পানিকে লাইসেন্স দিয়েছিল। সেটি ছিল বিএনপির এক মন্ত্রীর কোম্পানি।

‘তখন শুধু বড়লোকরাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারত। এক মিনিটের জন্য ১০ টাকা চার্জ করত। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আরও অনেক কোম্পানিকে লাইসেন্স দেয়। তখন থেকেই মোবাইল ফোন ছড়িয়ে যায় এবং খরচ কমে আসে। এটি সম্ভব করেছে আওয়ামী লীগ।’

জয় বলেন, ‘২০০৮ সালে আমরা ফিরে এসে কী দেখলাম? টেকনোলজিতে আমরা পিছিয়ে গেছি। যখন সারা বিশ্ব ফোরজিতে চলে যাচ্ছে, তখনও বাংলাদেশ টুজিতে আটকে আছে। তখন বিটিআরসি একটি অকশন করে।

‘আমরা ক্ষমতায় আসার পরই দেশে থ্রিজি চালু করি। মোবাইল অপারেটরগুলো এটি দ্রুত ছড়িয়ে দেয়। তখন আমরা উদ্যোগ নিই ফোরজিতে যাওয়ার। স্পেকট্রাম অকশন করে তখন আমরা ফোরজি চালু করে দিই। এখন বেশির ভাগ শহরেই ফোরজি নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। কিছু কিছু গ্রামেও পাওয়া যায়। আমার আশা, মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো সারা দেশেই ফোরজি ছড়িয়ে দেবে।’

দেশী টুয়েন্টিফোরফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ
Comments (0)
Add Comment