আদালতের নির্দেশের সত্ত্বেও দুই শিশুকে মায়ের জিম্মায় না দেওয়ায় বাবা ইমরান শরীফ গুরুতর আদালত অবমাননা করেছেন বলে জানিয়েছেন আদালত। দুই শিশুকে আজই মায়ের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) জাপানি মায়ের আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে সকালে জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে আপিল বিভাগে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
দুই শিশুকে রোববার রাত ১০টার মধ্যে মায়ের কাছে দেওয়ার কথা থাকলেও দেননি বাবা শরীফ ইমরান। এই নির্দেশনা না মানায় তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনবেন বলে জানিয়েছেলেন এরিকোর আইনজীবী।
গত রোববার দুপুরে জাপানি দুই শিশু বাংলাদেশি বাবার কাছে থাকবেন উল্লেখ করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা মায়ের আপিলের ওপর আংশিক শুনানি করেন। পরে আদালত দুই শিশুকে দুদিনের জন্য মায়ের রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১৫ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। আদালতে জাপানি মায়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম। বাংলাদেশি বাবার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, শিশুদের আনতে গেলেও তাদের মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়নি। এ কারণে আমরা আদালত অবমাননার আবেদন করেছি।
গেল ৫ ডিসেম্বর দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে নিজের জিম্মায় নিতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন জাপানি মা নাকানো এরিকো। এর আগে, ২১ নভেম্বর জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা বাংলাদেশে তাদের বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায় দেন হাইকোর্ট।