আজ সোমবার (১৩ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, ‘উনি (শহিদুল আলম) ২০১৯ সালে একটি রিভিউ পিটিশনের আবেদন করেছিলেন। ওনার বিরুদ্ধে যে তদন্ত চলছে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে ৫৭ ধারায়, সেটা আসলে আইনবর্হিভূতভাবেই চলছে। কারণ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যখন হলো ২০১৮ সালে, তখন তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল করা হলো।
‘পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এটা পরিষ্কার করল যে ৫৭ ধারায় যতগুলো মামলা রয়েছে, মামলাগুলো যদি বিচারাধীন থাকে, অথবা ট্রাইব্যুনালের অধীনে থাকে তাহলে সেগুলো চলতে পারে। অন্যথায় সব মামলা ঝরে যাবে, শেষ।’
ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, ‘৮ অক্টোবর ২০১৮ সাল থেকে যত মামলার তদন্ত শেষ হয়নি, সবগুলো সেই অবস্থায় মরে গেছে। শহিদুল আলমের মামলা কিন্তু বিচারাধীন অবস্থায় ছিল না। অক্টোবর মাস পর্যন্ত সেটার তদন্ত চলছিল। আমরা আদালতে সে কারণে এ বিষয়টি তুলি, এখানে তদন্তকারী যে কর্মকর্তা তাদের কোনো ক্ষমতাই নাই এ তদন্ত করার।’
তিনি আরও বলেন,’নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনে উসকানি দেয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট রমনা থানায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়। এ মামলায় সে বছরের ১২ আগস্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। পরে ১৫ নভেম্বর তিনি জামিন পান।