একই রায়ে আদালত আরো পরিষ্কার করেছে যে, একজন মুসলিম বালিকার বয়ঃসন্ধিকালে নিজের পছন্দমতো যে কাউকে বিয়ে করার স্বাধীনতা আছে। যদি পাত্র-পাত্রীর মধ্যে মিল থাকে তাহলে তাদের বিয়েতে হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই অভিভাবকদের।
বিচারক হর্নারেশ সিং গিল তার পর্যবেক্ষণে বলেন, আইন পরিষ্কার। তা হলো মুসলিম বালিকার বিয়ে কিভাবে হবে তা বলে দেয়া আছে মুসলিম পার্সোনাল ল’তে।
তবে ভারতে মুসলিম যুবকরা কোনও হিন্দু মেয়েকে ভালবেসে বিয়ে করতে চাইলে তাকে বিজেপি ও বিভিন্ন হিন্দুত্ব-বাদী গোষ্ঠী অনেকদিন ধরেই ‘লাভ জিহাদ’ বলে অভিহিত করছে। মধ্য প্রদেশ, হরিয়ানা, কর্ণাটক এবং আসামেও ‘লাভ-জিহাদ’ ঠেকাতে আইন পাসের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
স্যার দীনশাহ ফারদুনজি মোল্লার লেখা ‘প্রিন্সিপলস অব মোহাম্মেদান ল’ বইয়ের ১৯৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আবেদনকারী বালিকার বয়স ১৭ বছর। তিনি পছন্দের ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ের জন্য যোগাযোগ বা আইন মেনে বিয়ে করতে পারেন। অন্যদিকে দ্বিতীয় আবেদনকারী তার পার্টনারের বয়স প্রায় ৩৩ বছর। মুসলিম পার্সোনাল ল’তে মুসলিম মেয়েদের বিয়ের বয়স যা বলা আছে, সে অনুযায়ী প্রথম আবেদনকারী বিবাহযোগ্য। এক্ষেত্রে আদালত চোখ বন্ধ করে রাখতে পারে না। তারা আবেদনকারীদের সমস্যা নজরে নেয়ার প্রয়োজন মনে করেছে। বিশেষ করে তারা যেহেতু পরিবারের সদস্যদের অমতে বিয়ে করেছেন, তা সত্ত্বেও সংবিধানে তাদেরকে যে মৌলিক অধিকার দেয়া হয়েছে, তা থেকে তাদের বঞ্চিত করা যায় না।