আজ সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেজবাহ উদ্দিন (৬৫) মারা যান।
গত রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের ১ নম্বর রেলগেট এলাকায় রেল ক্রসিংয়ে লাইনের ওপরে বাসটি দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি ওই বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। পরে ঢামেকে আরও দুজন নিহত হন। আহত হন শিশুসহ আরও আটজন।
আহতদের মধ্যে চারজনকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। সেখানে রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাত বছরের ওই শিশুর মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নারায়ণগঞ্জে বাসে ট্রেনের ধাক্কায় আহতদের মধ্যে চারজনকে ঢামেকে আনা হয়। এর মধ্যে এক শিশু রোববার মারা যায়। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।
নিহতের ছেলে শাহরিয়ার মাহমুদ শিশির বলেন, তাদের বাসা নারায়ণগঞ্জ বন্দরের ঘাড়মোড়া গ্রামে। তার বাবা পঞ্চবটি কোল্ডস্টোরে চাকরি করেন। কাজ শেষে আনন্দ পরিবহনে করে বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে তাদের বহনকারী বাসে ট্রেনের ধাক্কা লাগলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাই। বাবার পেটে ও শরীরের অন্যান্য জায়গায় গুরুতর জখম থাকায় পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সকালে তার মৃত্যু হয়।’
নিহত মিসবাহ উদ্দিন বন্দর থানার ঘাড় ঘোড়া মদনগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বলেন, ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় রেলস্টেশনে ঢুকছিল ট্রেনটি। ওই সময় এক নম্বর গেট এলাকায় ক্রসিংয়ের সময় কালীরবাজার থেকে আসা আনন্দ পরিবহনের একটি বাস সামনে পড়ে যায়। তখন ট্রেনটি বাসকে ধাক্কা দেয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে দুজন পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করেন।