গত মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের উছমানপুর সার্বজনীন কবরস্থানে ছয়টি কবর খুঁড়ার এ ঘটনাটি ঘটে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকেই কবরস্থানে ভিড় করতে থাকে উৎসুক জনতা।
স্থানীয় স্বজন বলেন, প্রায় এক মাস তিনদিন আগে ওনার মাকে এখানে কবর দেয়া হয়েছিল। তিনি ঘন্টা খানেক আগে খবর পেয়ে কবরস্থানে ছুটে আসলে তার মায়ের কবরটিসহ পাশের আরো দুটি কবরের মাটি খুঁড়া অবস্থায় দেখতে পায়। তিনি বলেন লাশগুলি চুরির চেষ্টা করেছিল।
এখানে দাফনকৃত এক মৃতব্যক্তির স্বজন জানান, তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী তিন মাস আগে মারা যান। তাকে এই কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে লোক মুখে শুনে কবরস্থানে এসে দেখেন তার কবরটি মাটি খুড়ে বাঁশ সরিয়ে লাশের মাথার কাপড় খুলা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা লাশের হাঁড় নেয়ার জন্য কবরগুলো খুঁড়েছিলো। কিন্তু কবরগুলো নতুন হওয়ায় লাশগুলো পচন ধরেনি। সেজন্যই তারা লাশের কংকাল নিতে পারেনি।
নূর মোহাম্মদ নামে এক ব্যক্তি জানান, মারা যাওয়ার পরে কবরের লাশ চুরির চেষ্টার ঘটনাটি শুধু শুনে আসছিলাম। এটি খুবই দুঃখজনক। কিন্তু সকালে লোক মারফত কবর থেকে লাশ চুরির চেষ্টার কথা শুনে কবরস্থানে এসে নিজ চোখে কবরগুলো খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পেলাম। এর আগে কখনো আমাদের এলাকায় কবর খুঁড়ে লাশ বা কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেনি।
উছমানপুর এলাকার গোলাপ মিয়া বলেন, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। তিনটি লাশের কবর খোঁড়া অবস্থায় মাথা এবং পা দেখা যাচ্ছিল। লাশ এবং কঙ্কাল চুরির উদ্দেশ্যেই একটি চক্র এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তার ধারণা।
উছমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম ক্বারী খবর পেয়ে বিট পুলিশ অফিসার নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, লাশ চুরি চেষ্টার ঘটনাটি দুঃখজনক।
কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।