টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি কাঠের তক্তার ঘ্রাণ নিয়েই হত্যাকারীকে বের করে দেয় ওস্কার। বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এ কুকুরটি গোয়ালঘরে গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বের করে।
রাইগাড পুলিশের কনস্টেবল দর্শন সাওয়ান্ত এ ব্যপারে বলেন, ওস্কারকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি কাঠের তক্তার ঘ্রাণ শুঁকানো হয়। তারপর সেই ঘ্রাণ শুঁকতে শুঁকতে সে একটি গোয়ালঘরে ঢোকে। আর এভাবে সে আমাদের হত্যায় অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে দেয়।
ওই কনস্টেবল আরো বলেন, অস্কারের এখন তিন বছর বয়স। সে আমাদের কাছে আসে যখন তার বয়স ছিল সাত মাস। পুনেতে তাকে গোয়েন্দা কুকুর হিসেবে তৈরি করতে নয় মাসের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ওস্কার গত ফেব্রুয়ারিতেও একটি হত্যা মামলায় সহায়তা করে। সে সময় কুকুরটিকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি কাঁচির ঘ্রাণ শুঁকানো হয়। সেই গন্ধের সূত্র ধরে মাঠের মধ্যে একটি কুঁড়েঘরে গিয়ে পৌঁছায় সে। পরে সেখান থেকে হত্যাকারীকে আটক করা হয়।
এদিকে মহারাষ্ট্রের ঘটনার বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত হত্যাকারীকে খুঁজে বের করার পর তাকে এখন তারা রিমান্ডে নিয়েছেন। এ ঘটনায় আরো তদন্ত করা হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার শিকার নারীকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাই তারা মনে করছেন এখানে ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে।