আজ রোববার (২ জানুয়ারি) এ তথ্য জানা গেছে।
২০২২ সালের নববর্ষ উপলক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেন ড. আব্দুল মোমেন। চিঠিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। চিঠিতে সন্ত্রাস, জঙ্গী, মাদক বিরোধী কর্মকাণ্ডে র্যাবের ভূমিকাও তুলে ধরেন তিনি।
চলতি বছর ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাংলাদেশ সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে এটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বড় ধরনের কূটনৈতিক চাপ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর ওই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদও রয়েছেন। র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছেন তিনি। তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দফতর।
অন্য কর্মকর্তারা হলেন র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) তোফায়েল মুস্তাফা সারওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. আনোয়ার লতিফ খান।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর আলাদাভাবে বিভিন্ন দেশের ১২ কর্মকর্তার নাম ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করেছে। সে তালিকায় নাম আছে কক্সবাজারে র্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক মিফতা উদ্দিন আহমেদ।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ দফতর সরকারের নির্বাহী আদেশ ১৩৮১৮–এর আওতায় এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ আদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তির সম্পদ বাজেয়াপ্তের কথা বলা হয়েছে।