বিজ্ঞান যতই প্রগতির শিখরে থাকুক, কিন্তু আজও বিশ্বে এমনকিছু প্রাকৃতিক জিনিস রয়েছে, যাকে অলৌকিকই মনে করা হয়। এমনই সমাধান না হওয়া রহস্য হিসেবে ফ্রান্সের বারগান্ডি রাজ্যে (France’s Burgundy region) যুগ যুগ ধরে বয়ে চলেছে ‘ফঁসে ডিয়োনি স্প্রিং'(Fosse Dionne spring)। এমনটা নয় যে, এই ঝরনার উৎস খোঁজার চেষ্টা করা হয়নি, কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউই এটা জানতে পারেননি এই ঝরনার জল আসলে আসে কোথা থেকে?
ফঁসে ডিয়োনি স্প্রিংয়ে (Fosse Dionne spring) মাটির নীচ থেকে লাগাতার জল উৎসারিত হয়। বেশ কয়েকবার এই রহস্য ভেদ করার চেষ্টা হয়েছে যে আসলে এই ঝরনায় নিয়মিত জল কোথা থেকে আসে, কিন্তু কেউই এর তল পায়নি। অবাক করার মতো বিষয় হল এই ঝরনার উৎস জানা নেই, তাও এতে কখনওই জলের অভাব হয় না।
মাটি থেকে উঠে আসার এই ঝরনার জলের স্রোত খোঁজার বহু চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি কেউই,
প্রকৃতির অলৌকিক ভূগর্ভস্থ উৎস
এই ঝরনাটি টোনের নামক শহরে অবস্থিত। এই ঝরনা থেকে প্রতি সেকেন্ডে কম সে কম ৩০০ লিটার জল বাইরে বেরোয়, যা যথেষ্ট বেশি। যদি বৃষ্টি বেশি হয়, তাহলে ঝরনার জল নির্গমন ৩০০০ লিটার প্রতি সেকেন্ড পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এই জল রোমান মানুষরা পান করার জন্য ব্যবহার করতেন, অন্যদিকে সপ্তদশ শতাব্দীতে এই জলে মানুষ স্নানও করতেন। অষ্টাদশ শতকের মানুষ যখন এই ঝরনার তল খোঁজার চেষ্টা করেন, তো এই গোলাকর কুণ্ডের তলই নেই। মাটি থেকে উঠে আসা এই ঝরনার উৎস খোঁজার বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু কেউই এতে সফল হয়নি।
যেই খুঁজতে গিয়েছেন, ফিরে আসেননি
বলা হয় যে মানুষ ফঁসে ডিয়োনি স্প্রিংয়ের জলস্রোত খোঁজার চেষ্টা সপ্তদশ শতক থেকে করছে। এই খোঁজে যাওয়া বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যে কারণে এই জায়গাটিকে আরও রহস্যময়ী মনে করা হয়। বেশকিছু মানুষের বক্তব্য এই ঝরনায় অন্য গ্রহ থেকে জল আসে আর সেই জায়গাটি সাপেদের বাসস্থান। ১৯৭৪ সালে দুজন ডুবুরি এই ঝরনার উৎস খুঁজতে গিয়ে ওই ঝরনা স্রোতে হারিয়ে মারা যান। ১৯৯৬ সালে আবারও একবার চেষ্টা করা হলে তাতেও আর একজন ডুবুরির মৃত্যু হয়। কয়েক বছর আগে আরও একবার এক ডুবুরি চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনিও মাঝপথ থেকেই ফিরে আসেন।