আজ রোববার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সাভারের আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নবম সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আহ্বান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজ কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আমাদের মিটিং আছে। শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম জোরেশোরে চলছে। সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে এসে কিভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যায়, সে চেষ্টাই করছি আমরা। তবে এটাও ঠিক, যদি মনে হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে সংক্রমণ বাড়বে, তখন আমরা বন্ধ করে দেবো হয়তো।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুরক্ষিত রেখে সংক্রমণ কীভাবে এড়াতে পারি। যারা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে বা হয়ে যাচ্ছে তারা গুজব ছড়াচ্ছেন। সব সময়ই এমন গুজব ছড়ানো হয়। আপনারা গুজবে কান দেবেন না।
তিনি বলেন, মহামারির সময় নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দাঁড়াতেই পারেনি। সে সময় ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার নিয়োগ দেওয়া আরেকটি বাড়তি চাপ। যদিও ভিসি ছাড়া থাকতেই হবে, এছাড়া প্রতিষ্ঠান চলবে না। আমরা বারবারই যেখানে যে অভাব আছে তা পূরণে তাগাদা দিচ্ছি। চেষ্টা করছি দ্রুত এ কাজ শেষ করার। তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষ থেকে আরও বেশি স্বদিচ্ছা কামনা করছি।
এর আগে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা কি পরীক্ষার সনদের ওপর নির্ভরশীল? যদি তাই হবে তাহলে এত সনদধারী বেকার কেন? নিশ্চয়ই এটা আমাদের কাম্য নয়। সে কারণে একেবারে প্রাক-প্রাথমিক থেকে একটা পরিবর্তন নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। যার মাধ্যমে শিক্ষা শুধু পরীক্ষা আর সনদ নির্ভর হবে না। শিক্ষার্থীরা প্রয়োগের মাধ্যমে শিখবে।