গত বুধবার (৫ জানুয়ারি) পঞ্চম ধাপে পত্নীতলা উপজেলার ২৩টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় ঘোষনগর ইউনিয়নের ঘোষনগর গ্রামের দুটি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা না দিয়ে ব্যালট বাক্স উপজেলায় নিয়ে যেতে চাই পুলিশ।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারজানা পারভীনের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশের দুটি গাড়ি ও ভোটের সরঞ্জামে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ফারজানা পারভীনসহ ১১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও নাম উল্লেখ না করে ২ হাজার ৫০০ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) মামলা করে পুলিশ। পরে ফারজানা ও তার স্বামী মতিউর রহমানসহ সাতজনকে গ্রেফতার করে তারা।
গত শনিবার ও রোববার (৯ জানুয়ারি) সরেজমিনে ঘোষনগর ও কমলাবাড়ী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গ্রেফতার আর হয়রানি এড়াতে গ্রাম দুটি পুরুষশূন্য। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। পড়ে আছে খেত-খামার। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সেখানে বসবাসকারী নারীরা।
এলাকাবাসি বলেন, এখন গ্রামের অবস্থা ভালো নাই। গ্রামজুড়েই শুধু মেয়ে মানুষ। পুরুষরা সবাই সংসার ছেড়ে, কাজকর্ম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। রাত নামলেই ভয় লাগে।