আজ সোমবার (১০ জানুয়ারি) সকালে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ধলেশ্বরী নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে রবিবার (৯ জানুয়ারী) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধলেশ্বরী নদী থেকে মা ও মেয়েসহ ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ভেসে ওঠা লাশের মধ্যে রয়েছে- ফতুল্লার চরমধ্যনগর এলাকার সোহেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৫) ও তার বড় মেয়ে তাসমিন আক্তার (২০), ফতুল্লার চরবক্তাবলীর রাজু সরদারের কলেজ পড়ুয়া ছেলে সাব্বির আহমেদ (১৮), বক্তাবলীর হাজিপাড়ার আব্দুল জলিলের মেয়ে জ্যোৎস্না বেগম (৩৩), ফতুল্লার উত্তর গোপাল নগরের রেকমত আলীর ছেলে আব্দুল মোতালেব (৪২), চরবক্তাবলীর মৃত আক্কাস আলীর ছেলে আওলাদ হোসেন (৩০)।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সকালে ফতুল্লার বক্তাবলী সিপাইবাড়ি খেয়াঘাট থেকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ধর্মগঞ্জ খেয়াঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ধলেশ্বরী নদীর মাঝখানে পৌঁছালে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী এমভি ফারহান নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কা লাগলে ডুবে যায় ট্রলারটি। এসময় অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও একই পরিবারের চারজনসহ আরও ৬ যাত্রী নিখোঁজ হন। ঘটনার পঞ্চম দিন পার হলেও এখনো কাউকে উদ্ধার করতে না পারায় স্বজনদের আর্তনাদ ক্রমেই বাড়ছে।
এদিকে ঘন কুয়াশায় উদ্ধার অভিযানে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। স্থানীয়দের অভিযোগ, ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রীবহন করায় নদীটির এ পথে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। সেদিন থেকেই তাদের খোঁজ পেতে ধলেশ্বরীর তীরে অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা।
অপরদিকে, ট্রলারডুবির ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান, চালক জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া ও সুকানি জসিম মোল্লাকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেছেন বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, জব্দ করা হয়েছে লঞ্চটিও।