অবহেলিত বাবা মায়ের শেষ আশ্রয় সাজুর নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রম

নচিকেতার বৃদ্ধাশ্রম গানটি মনে দাগ কাটে। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন এর খুচরা কীটনাশক বিক্রেতা সাজেদুর রহমান এর মনে। তখনি ঠিক করে সন্তানের অবহেলা সহ নানা কারণে অবহেলিত বাবা-মার দায়িত্ব নেবেন। সেই চিন্তা থেকে কিশোরগঞ্জ সরকারি কলেজ সংলগ্ন টিন সেট বাড়িতে গড়ে তোলেন নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রম।

বৃদ্ধ বাবা-মার দায়িত্ব নেননি এমন অভিভাবকহীন ২৫ জন নিরাশ্রয় প্রবীনদের তিনি স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠায় দেন নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমে। ছোট দোকানের আয় দিয়ে গত চার বছর ধরে চালিয়ে আসছেন এই বৃদ্ধাশ্রম। প্রবীনদের চিকিৎসা খাদ্য খরচ সহ আশ্রম চালাতে সম্প্রতি স্থানীয় কিছু যুবক সহযোগিতার হাত বাড়ালেও তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কম।

এখন প্রয়োজন সরকারি সহযোগিতা এই আশ্রমের খাওয়া-দাওয়া বা পরিচর্যা নিয়ে প্রবীনদের কোন অভিযোগ নেই। তবে নিজ সন্তানদের প্রতি যে তাদের অনেক অভিমান ও আক্ষেপ জমে আছে যা তাদের কথা শুনলেই বোঝা যায়।

অসহায় বৃদ্ধ বাবা-মায়ের একটু সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য সরকারের সহায়তার পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসবে এমন প্রত্যাশা এখানকার প্রতিষ্ঠাতা সাজেদুর রহমান সাজুর।

অসহায় মানুষদের দেখতে প্রতিদিন সাজু ছুটে আসেন এখানে। শিক্ষিত সুশীলসমাজ এগিয়ে আসলে বৃদ্ধাশ্রমকে অনেকটাই এগিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন সাজু।

অবহেলিত বাবা মায়ের শেষ আশ্রয় সাজুর নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমদেশী টুয়েন্টিফোর
Comments (0)
Add Comment