পরীমনি জানান, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ছবি ‘গুনিন’-এর সেটে তাঁদের পরিচয় ও প্রেম। শুটিং করতে গিয়ে এক অন্য রকম রাজকে আবিষ্কার করেন তিনি। তারপর তাঁদের প্রেম গড়ায় পরিণয়ে। তিন দিন আগে পরিচালককে মিষ্টি খাইয়ে নিজেদের বিয়ের খবর জানিয়েছিলেন পরীমনি। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন সেলিম নিজেই।
শরিফুল রাজ বলেন, ‘খবরটা জেনে কী পরিমাণ খুশি হয়েছি, বলে বোঝাতে পারব না। আই অ্যাম প্রাউড অব হার।’ জীবনসঙ্গী হিসেবে পরীমনি কেমন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে কখনই আমাকে ছেড়ে যাবে না, আমিও না। ভাবছি, দুজনের কবরটাও একসঙ্গে হবে।’
পরীমনি বলেন, ‘আমাদের বিয়ের চার মাস হতে চলেছে। সপ্তাহ তিনেক আগে আমরা জানতে পারি যে আমি মা হতে যাচ্ছি। প্রথম মাস চলছে। মা হওয়ার খবর শোনার পর যেদিন হাসপাতাল থেকে বের হয়েছি, মনে হচ্ছিল, আমি যেন উড়ছিলাম। ভাবছিলাম, আল্লাহ রে, দুনিয়াদারি কেমন যেন হয়ে গেল। মনে হয়েছে, বিশাল পাখা হয়ে গেছে আমার। আমি পৃথিবীর সবচেয়ে পাওয়ারফুল উইমেন। অনেক শক্তি আমার।’
পরীমনি জানান, চিকিৎসক তাঁকে একটু সাবধানে চলাফেরা করতে বলেছেন। আপাতত শুটিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আগামী দেড় বছর একদম ছুটি। বাচ্চাকে সুস্থভাবে পৃথিবীতে আনতে চাই। প্রপারলি একটা সুস্থ বাচ্চা জন্ম দিতে চাই।’
মা হওয়ার খবর পেয়েই আনন্দে ভেসে গিয়েছেন রাজ-পরী। ভাগ করে নেওয়া ছবিতে সেই ছাপ স্পষ্ট। পার্পল বা বেগুনি রঙেই কি নায়িকা নিজেতে মেলে ধরতে বেশি ভালবাসেন? বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার সময়েও তাঁর পোশাকে সেই রঙেরই আভা! সাদা পুরো হাতার গেঞ্জিতে বেগুনি রঙের ডোরা। সাদা ট্র্যাক প্যান্ট। উপরে ফারের গরম পোশাক। পরীর হাসিমুখ বলছে, তিনি আনন্দে যেন ভাসছেন। সেই আনন্দের শরিক রাজও। নায়িকা হুইলচেয়ারে বসে। তাঁকে পরম যত্নে নিয়ে আসছেন তাঁর স্বামী।
‘আইসক্রিম’ ছবিটির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় শরিফুল রাজের। সর্বশেষ ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ ছবিতে দেখা যায় রাজকে। অন্যদিকে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ছবির মধ্য দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হয় পরীমনির। পরীমনির মুক্তিপ্রাপ্ত শেষ ছবি ‘স্ফুলিঙ্গ’।