আজ বুধবার (১২ জানুয়ারি) ডিআরইউ আয়োজিত ‘মিট দ্যা রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, করোনার প্রথম বছরে লকডাইনে ১৩-১৪ দিন শিল্প কারখানা বন্ধ ছিল।ওই সময় যতসব শ্রমিক গ্রামে চলে গেছেন তাদের প্রায় ১০ শতাংশ শ্রমিক আর ফিরে আসেনি।
তিনি বলেন, আবার লকডাউনের মতো কিছু হয়, তাহলে অর্থনীতির ক্ষতি হবে। লকডাউন না দিয়ে গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে। লকডাউন কোনো সমাধান নয়।
তিনি আরও বলেন, যে দেশ যত বেশি লকডাউন দিয়েছে সেই দেশের অর্থনীতি তত বেশি ক্ষতি হয়েছে। অনেক দেশে ১০ শতাংশ পর্যন্ত নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ভালো ছিল। করোনার মধ্যেও প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ হয়েছে।
সবাইকে দ্রুত টিকার আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যবসা, শিল্প-কারখানায় জড়িত সকল শ্রমিক ও কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিতে হবে। এই মূহুর্তে প্রচুর ক্রয়াদেশ আসছে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয় এমন সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকতে হবে।
ব্যবসা খাতে ক্ষতি হলে অর্থনৈতিকভাবে দেশ ‘পিছিয়ে যাবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশ হতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। চলমান রাখতে হবে অর্থনৈতিক কার্যক্রম।’
সামনে কর্পোরেট ঋণে বড় ঝুঁকি দেখা দিতে পারে বলেও সভায় আশঙ্কা প্রকাশ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ছোট ঋণে ব্যাংকগুলোকে মনোযোগ বাড়াতে হবে। এসএমই খাত না এগুলে অর্থনীতিতে গতি আসবে না। অনেক ছোট ব্যবসায়ী এখনও প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ পাননি। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত ছোটদের ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোকে বাধ্য করা।’