নিউজিল্যান্ড সফরে মাঠের ক্রিকেট শেষ হয়ে গেছে গতকাল মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি)। তবে ম্যাচ শেষ হলেও নিউজিল্যান্ডে আরও কয়েক দিন থাকতে হবে মুমিনুল-লিটনদের।
বিসিবির লজিস্টিকস বিভাগ থেকে গতকাল জানা গেছে, বাংলাদেশ দল ঢাকায় ফিরবে আগামী ১৫ জানুয়ারি শনিবার। দেশে ফেরার ফ্লাইটে চড়ার আগে এই কয়েকটা দিন ছুটি কাটাবেন ক্রিকেটাররা। নিউজিল্যান্ড ঘুরে দেখার সুযোগও পাচ্ছেন তারা। বিশ্রামটা তাদের প্রয়োজনও। কারণ, দেশে ফিরেই যে বিপিএল খেলতে নেমে যেতে হবে সবাইকে।
শোনা যাচ্ছে, আসন্ন বিপিএলের পর ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের আগেই যে কোনো কিছুই হতে পারে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এ মুহূর্তে দেশের বাইরে আছেন। দেশে আসলেই এ ব্যাপারে মিটিংয়ে বসতে পারেন তিনি।
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ইংলিশ কোচ স্টিভ রোডসকে বিদায় করে ডমিঙ্গোর হাতে দলকে সঁপে দিয়েছিল নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ড। ২০২৩ সালের মধ্যে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর একটি ওডিআই বিশ্বকাপ। ২০১৯ সালের আগস্টে দায়িত্ব পাওয়া প্রোটিয়া কোচের সামনে বড় চ্যালেঞ্জই ছিল।
প্রাথমিকভাবে চুক্তি ছিল ২ বছরের। যার শুরুটা হয় চরম হতাশার মধ্য দিয়ে। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছে টেস্ট হেরে বসে বাংলাদেশ দল। এরপর ভারত ও পাকিস্তান সফরেও কিছুই করতে পারেনি তারা। মাঝে করোনাভাইরাসের কারণে লম্বা সময় খেলা গড়ায়নি মাঠে। তবে খেলা মাঠে ফিরলেও ডমিঙ্গোর অধীনে সুদিন ফেরেনি টাইগারদের। দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হার আর নিউজিল্যান্ড সফরে সব ম্যাচ হারের পর ব্যাপক সমালোচনা হয়।
ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় আর জিম্বাবুয়ে সফরের পারফরম্যান্সের পর কিছুটা স্বস্তি ফেরে। মিরপুরে ইচ্ছেমতো উইকেট বানিয়ে খর্বশক্তির অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে আকাশে উড়তে থাকেন ডমিঙ্গো। আফ্রিকান কোচের সার্টিফিকেট নিয়ে আত্মবিশ্বাসের বেলুন উড়িয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যায় মাহমুদউল্লাহরা। ওমান আর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রখর রোদে সে বেলুন মিলিয়ে গেছে কোথায়, কেউ জানে না। মাথানত করে ঢাকায় ফিরে স্মৃতির আকাশেও তা খুঁজতে চাইছে না কেউ।