আজ রোববার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। ইতোমধ্যে ভোট গণনা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ২৪ টি কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিএনপির বিভিন্ন পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের চেয়ে দ্বিগুণ ভোটে এগিয়ে আছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
২৪ কেন্দ্রে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ১২৫০৮ ভোট, অন্যদিকে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন ২৩১৭৫ ভোট।
এবার সিটি নির্বাচনের মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৯ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৮ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৪ জন ভোটার। মোট ভোটকেন্দ্র ১৮৭টি এবং ভোট কক্ষ ১ হাজার ৩০১টি। এর মধ্যে অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র ছিল ২৫টি।
এবার নির্বাচনে মোট ৭টি দল অংশগ্রহণ করেছে। মেয়র পদে নির্বাচন করেছেন ৭ জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ৩০ জন ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কমপক্ষে ৪ থেকে ৫টি টিম ছিল; যার প্রতিটি টিমে ৪ থেকে ৫ জন পুলিশ সদস্য ও ২০ থেকে ২২ জন আনসার সদস্য।
নির্বাচনে মেয়রপদে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন— খেলাফত মজলিশের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ (হাত পাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) ও স্বতন্ত্র কামরুল ইসলাম বাবু (ঘোড়া)। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে (হাতি) নিয়েই দেশব্যাপী বেশি আলোচনা ছিল। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দুই প্রার্থীই।
এ নির্বাচনে সিটি করপোরেশনের ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে এবং ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।