আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) চীনের সরকারি পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে। এতে করে চীনা দম্পতিদের অধিক সন্তান জন্মদানে উৎসাহিত করার কর্মসূচিও কার্যত ফলহীন হয়ে উঠেছে বলে দেখা যাচ্ছে।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়েছে, চীনের মূল ভূখণ্ডে ২০২১ সালে প্রতি এক হাজারে সন্তান জন্মদানের হার ছিল মাত্র ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ।
দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলা এক সন্তান নীতির কারণেই মানুষের মধ্যে সন্তান জন্মদানের আগ্রহ কমেছে। যদিও সরকার এই নীতি তুলে নিয়ে দম্পতিদের তিনটি পর্যন্ত সন্তান নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।
কয়েক দশকের এক সন্তান নীতি ২০১৬ সালে বাতিল করে চীন। এরপরেই দম্পতিদের দুটি করে সন্তান নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। দেশটিতে দীর্ঘদিন এক সন্তান নীতির প্রচলনের কারণে সেখানে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাচ্ছিল।
এ অবস্থায় ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে সরকার দুটি সন্তান নেওয়ার অনুমোদন দেয়। কিন্তু বেশির ভাগ দম্পতিই এতে সাড়া দেয়নি। শহুরে জীবনে ব্যয় অনেক বেশি হওয়ায় তারা সন্তান নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহী নন।
পরিসংখ্যানে বলা হয়, অভিবাসী বাদে চীনের জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ২০২১ সালে ছিল মাত্র ০.০৩৪ শতাংশ। ১৯৬০ সালের পর এ হার ছিল সর্বনিম্ন।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে, ২০২১ সালে জন্মহার যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে, তা ১৯৪৯ সালের পর সর্বনিম্ন।
পিনপয়েন্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান অর্থনীতিবিদ ঝিওয়েই ঝাং বলেন, চীনে জনসংখ্যাতত্ত্বের চ্যালেঞ্জ সুপরিচিত। কিন্তু প্রত্যাশার চেয়ে যে, বয়স্কদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে সে বিষয়টি পরিষ্কার।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০২১ সালে চীনের মোট জনসংখ্যা হয়তো সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেছে। আরও ইঙ্গিত মেলে যে, প্রত্যাশার চেয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন হচ্ছে অধিক ধীরগতিতে।
এক সময় চীনে জন বিস্ফোরণ শুরু হয়েছিল। তা ঠেকাতে ১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতি চালু করেছিল চীন সরকার। যা চীনের অর্থনীতিতে ভালো প্রভাব ফেলেছিল। মানুষের সঞ্চয়ের জায়গা বেড়েছিল কিন্তু পরে দেখা যায় সেখানকার বয়স্কদের দেখাশোনার জন্য লোকজনের অভাব দেখা যাচ্ছিল। অনেক পরিবার আবার সন্তানহীন হয়ে পড়েছিল। অনেক গবেষণার পর দুই সন্তানের অনুমতি দেওয়া হয়