বিএফডিসি প্রাঙ্গণ এখন উৎসবমুখর। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছে ঢাকাই সিনেমার তারকারা।
নেচে গেয়ে সেই উৎসবের মাঝেই নির্বাচন প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুন এবং জায়েদ-মিশা পরিষদের সমর্থক ও কর্মীরা।
তবে শিল্পীদের এই নির্বাচন নিয়ে নিজেদের মধ্যে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগও রয়েছে। দু’পক্ষের উদ্দেশ্যই নির্বাচনে বিজয়ী হলে শিল্পী ও চলচ্চিত্রের জন্যে কাজ করা।
এফডিসিতে গেলেই এখন চোখে পড়ে সাজসাজ রব। চারিদিকে ঝুলছে ব্যানার-ফেস্টুন। সেই সঙ্গে শিল্পী ও কলাকুশলীদের আনাগোনাও বেড়ে গেছে অনেক।
দেখে বোঝার উপায় নেই এটি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন, নাকি জাতীয় নির্বাচনের প্রচার। গেলোবারের নির্বাচনের প্রচার ও ফলাফলকে ঘিরেও ছিলো একই রকমের উত্তেজনা।
গেলো দু’বারের বিজয়ী মিশা-জায়েদ প্যানেলের সাথে এবার লড়ছেন ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুন প্যানেল। এবার দুই প্যানেলেই যোগ দিয়েছেন অনেক নতুন তারকা।
ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের সহসভাপতি চিত্রনায়ক রিয়াজ আহমেদ ও ডি এ তায়েব, সহ সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেত্রী শাহনূর।
আর, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক চিত্রনায়ক নিরব হোসেন, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক অভিনেতা আরমান, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন।
কোষাধ্যক্ষ পদে প্রার্থী অভিনেতা আজাদ খান। সদস্য পদে অমিত হাসান, ফেরদৌস, শাকিল খান, নানাশাহ, আফজাল শরীফ, সাংকো পাঞ্জা, জেসমিন, কেয়া, গাঙ্গুয়া ও সীমান্ত।
অন্যদিকে, মিশা-জায়েদ প্যানেলে সহসভাপতি ডিপজল ও রুবেল, সহসাধারণ সম্পাদক সুব্রত, সাংগঠনিক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জয় চৌধুরী।
দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জেকে আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক জাকির হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচন করবেন ফরহাদ।
আর, কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে প্রার্থী হচ্ছেন রোজিনা, অঞ্জনা, সুচরিতা, অরুণা বিশ্বাস, মৌসুমী, আসিফ ইকবাল, বাপ্পারাজ, আলীরাজ, নাদের খান ও হাসান জাহাঙ্গীর।
বিজয়ী হলে গেলো দুইবারের বিজয়ী প্যানেল যা করতে পারেনি তাই করতে চায় কাঞ্চন-নিপুন প্যানেল। অন্যদিকে মিশা-জায়েদ নিজেদের সফল দাবি করে আবারও জয়ের আশা করছে।
তবে, নির্বাচনকে ঘিরে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে রয়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। সব কিছুর উত্তর মিলবে ২৮ জানুয়ারি। তবে বিজয়ীরা এফডিসির দুরবস্থা কাটাতে পারে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।