মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে পেশাদার গাড়ি চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য।
আজ রোববার (৩০ জানুয়ারি) থেকে নতুন এ নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
পেশাদার গাড়ি চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের সময় প্রার্থীর আবেদনপত্রের সঙ্গে সরকারি হাসপাতাল থেকে করা ডোপ টেস্টের সনদ বিআরটিএতে জমা দিতে হবে। পরিবহন চালকদের মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো বন্ধ করতে ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চালকদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনাই এবার বাস্তবায়ন হচ্ছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্র্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার গত বুধবার এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সব বিভাগীয় ও সার্কেল কর্মকর্তাদের একটি পরিপত্র পাঠান।
বিআরটিএ চেয়ারম্যানের পাঠানো পরিপত্রে বলা হয়েছে, যারা মাদকাসক্ত নন, তারাই কেবল পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। তবে অপেশাদার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক নয়। বাণিজ্যিক পরিবহন, ভাড়ায় চালিত গাড়ি অথবা সরকারি বাহনের চালক হিসেবে কাজ করতে হলে পেশাদার লাইসেন্স থাকা আবশ্যক।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, মাদক পরীক্ষা সব জেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতাল, ঢাকা শহরের ৬টি হাসপাতাল ও সরকারের মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অনুমোদিত সব ল্যাবরেটরিতে মাদক পরীক্ষা করা যাবে। ঢাকার ৬টি হাসপাতাল হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।
এ ব্যাপারে বিআরটিএর পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী গণমাধ্যমকে বলেন, আজ রোববার থেকে বিষয়টি কার্যকর করবো। যারা পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসবে তাদের ডোপ টেস্টের সনদ লাগবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে কর্তৃপক্ষকে চালকদের মাদক পরীক্ষার আওতায় আনার নির্দেশ দেন। দেড় বছর পর সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে বিআরটিএ।