আজ সোমবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর ইস্কাটন রোডে বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ কে এম শামসুল হক খান মেমোরিয়াল হলে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে প্রস্তাব দেয়। ভোক্তাপর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের গণশুনানির প্রথমদিন বিষয়টি উত্থাপন করে পেট্রোবাংলা।
এসময় ক্যাবের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনার মূল্যায়ন ও ভোক্তার পক্ষে তিনি যে সুপারিশগুলো তুলে ধরেন—
১. গ্যাসের বিদ্যমান মূল্যহার বহাল রেখে সব পর্যায়ের ট্যাক্স-ভ্যাট, অযৌক্তিক (লুণ্ঠনমূলক) ব্যয় কমিয়ে গ্যাসে আর্থিক ঘাটতি কমানোর সুপারিশ।
২. গ্যাস চুরি ও পরিমাপে কারচুপি এবং অস্বাভাবিক ব্যয়ে চাহিদার অতিরিক্ত সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছ থেকে অর্থলুণ্ঠন হচ্ছে। তার জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলাসহ গ্যাস সরবরাহে নিয়োজিত সব কোম্পানির স্ব-স্ব পরিচালনা বোর্ডকে অভিযুক্ত করা হলো। এ অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মুনাফা মার্জিন রহিত করে ব্রেক-ইভেনে চলার প্রস্তাব করা হলো।
৩. গ্যাস খাতে সুশাসন নিশ্চিতের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য অংশীজনদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিশন গঠন করার প্রস্তাব করা হলো।
৪. এর আগে গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিইআরসির আদেশাবলি পালন না করার দায়ে এবং গ্যাস খাত বিপর্যস্ত করা জন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সধারীদের বিরুদ্ধে বিইআরসি আইনের ৪৩ ধারা এবং ৪৬ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করা হলো।
৫. গ্যাস সেবাকে স্বার্থ সংঘাত মুক্ত করার লক্ষ্যে, সেবা দেওয়া লাইসেন্সধারীদের পরিচালনা বোর্ডকে আমলা মুক্ত করার প্রস্তাব করা হলো।
শুনানিতে সুপারিশ উল্লেখ ও প্রস্তাবনার বিষয়ে মূল্যায়ন ও অসামঞ্জস্যতা তুলে ধরে ক্যাব সভাপতি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে আপত্তি রইল। তাছাড়া উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষার্থে বিইআরসি আইনের ৪৬ ধারার আওতায় মামলা করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।
গণশুনানিতে বিইআরসি, পেট্রোবাংলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।