ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, পিপলস লিজিংসহ চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার।
তাই পিকে হালদারকে ফেরত আনার সঙ্গে সঙ্গে পাচার হওয়া হাজার টাকা উদ্ধারে এখনই উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
ভারত-কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে তার পাচার করা টাকা উদ্ধারে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরুর তাগিদ ও দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
আমির খান অভিনীত আলোচিত হিন্দি সিনেমা পিকের মতোই বাংলাদেশে পিকে হালদার নামটা আলোচিত এবং একই সঙ্গে সমালোচিত।
পুরো নাম প্রশান্ত কুমার হালদার। ২০১৪ সাল থেকে একে একে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, পিপলস লিজিং, এফএএস ফাইন্যান্স ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি দখলে নেন পিকে।
চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে থেকে ঋণের নামে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন এনআরবি গ্লোবালের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিকে হালদার।
আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবসহ ঘনিষ্টজনদের নামে বেনামে কোম্পানি খুলে কানাডা সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাত ও ভারতে বিপুল পরিমান টাকা পাচার করেন পিকে।
তাই ভারত থেকে তাকে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সেখানে থাকা তার সম্পদ দেশে ফিরিয়ে আনতে এখনই উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ড. রুমানা হক অধ্যাপক এবং ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক আলী আহমেদ বলেছেন, এখনই সময় উদ্যেগ নেয়ার।
গ্রাহকের সাড়ে তিন হাজার টাকা হাতিয়ে নিতে নাম সর্বস্ব ৩০টির বেশি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন পিকে হালদার। যেগুলোতে নিজের নাম না থাকলেও মা, ভাইসহ আত্মীয়দের নাম রয়েছে।
১৭৮টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে পিপলস লিজিং অবসায়িত করেছে সরকার।
তাই, গ্রাহকদের টাকা উদ্ধারে ভারত-কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের সাথে কূটনৈতিক তৎপরতার শুরুর তাগিদও দিয়েছেন অধ্যাপক রুমানা এবং আলী আহমেদ।