পশ্চিমবঙ্গের এক মন্ত্রীর সাথে হালদারের সুসম্পর্ক!

দেশের আর্থিক খাতের অভিযুক্ত শীর্ষ জালিয়াত পিকে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদার সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য প্রতিবেদন করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

সেসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিকে হালদারের অর্থ পাচারের সীমা কানাডা হয়ে ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত। অবৈধ লেনদেনে পিকের প্রধান সহযোগী সুকুমার মৃধা, যিনি বর্তমানে কারাগারে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছ থেকেই পিকে এন্ড গংদের সম্পর্কে জানতে পারে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

তারা জানতে পেরেছেন পিকে হালদারের পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রীর সংযোগ রয়েছে। এছাড়া প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও কয়েকজন সংসদ সদস্যের সরাসরি যোগাযোগ আছে।

কারা সেই সব ব্যক্তি, সে সম্পর্কে কোন তথ্য এখনই জানা সম্ভব হয়নি। এসব বিষয় নিয়ে ঢাকা থেকেও কোন তথ্য বা বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঢাকা থেকে ইঙ্গিত আসছে নয়াদিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় এখনই নজরে থাকা পশ্চিমবঙ্গের সেই প্রভাবশালী রাজনীতিকদের নাম বলা সম্ভব নয়।

তবে ইঙ্গিতে এটাও বলা হচ্ছে যে, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা উত্তর ২৪ পরগনায় আছে সব সূত্রের চাবিকাঠি।

দুদক আগেই জানিয়েছে পিকে হালদার পলাতক। আপাতত তার অবস্থান কানাডায়। কিন্তু তার বিপুল বেআইনি রোজগার ও সম্পত্তি ভারতে ছড়িয়ে।

দীর্ঘ সময় ধরে রাজনৈতিক সম্পর্ককে মজবুত করে পিকে ও সুকুমার পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুতে সম্পত্তি সরিয়েছে। তাদের বেআইনি লেনদেনে রাজনৈতিক সংযোগ স্পষ্ট।

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের  সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিকে হালদার। প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ।

পিকে হালদারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল।

পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর ও কলকাতাসহ আরও কয়েকটি রাজ্যে আছে পিকে হালদারের বাড়ি।

এরপরেই দুদক পিকে হালদারের বিষয়ে তথ্য পাঠায় ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কাছে। সেই তথ্য নিয়ে শুক্রবার অশোকনগরে অভিযান চলে ইডির।

পলাতক পিকে হালদারের আর সহযোগী সুকুমারের একটি বাড়ি আছে অশোকনগরে। সেখানের  পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত পিকের সহযোগী সুকুমার মৃধা।

তদন্তে উঠে এসেছে নিজেকে পিকে হালদারের সহযোগী নয়, ক্লায়েন্ট বলে পরিচয় দিত সুকুমার। ইডি যে বাড়িতে অভিযান চালায় সেটি পিকে হালদারের ভাই প্রীতিশ হালদারের বাড়ি।

তবে, এলাকাবাসীর কাছে তিনি প্রাণেশ হালদার নামে পরিচিত। সেই বাড়ি দুই বছর আগে সুকুমার মৃধার নামে হস্তান্তর করা হয়।

দেশী টুয়েন্টিফোরপশ্চিমবঙ্গের এক মন্ত্রীর সাথে হালদারের সুসম্পর্ক!
Comments (0)
Add Comment