তাদের ধরণা, পল্লবীকে খুন করা হতে পারে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে ভিন্ন কথা।গতকাল পল্লবীর মরদেহ উদ্ধার করার পর সেটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় গড়ফা থানার পুলিশ। এর কয়েক ঘণ্টা বাদে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, পল্লবী আত্মহত্যাই করেছেন।
ঘটনার পরই পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গীকে গ়ড়ফা থানায় ডেকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই সঙ্গী থানাতেই ছিলেন বলে জানায় পুলিশ। পল্লবীর সঙ্গী একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন।
পুলিশি জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন, গত শনিবার (১৪ মে) রাতে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। রোববারও অশান্তি হয়েছিল। এরপর কিছুক্ষণের জন্য বাইরে সিগারেট খেতে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তিনি পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।
অন্যদিকে, পল্লবীর পরিবার খুনের দিকেই ইঙ্গিত করছে বার বার। পুলিশ সূত্রে খবর, সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পল্লবী ও তার সঙ্গীর মধ্যে সম্পর্ক ইদানীং কেমন ছিল, কেন তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল ঘটনার আগে, সব বিষয়ই নিখুঁত ভাবে দেখতে চান তদন্তকারীরা।