আজ বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে বোয়ালখালী-পটিয়া সীমান্তের করলডেঙ্গা পাহাড়ে লেবু বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ১০৭ জনের মধ্যে তিনজন মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্তি পেয়েছেন। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দিতে হয়েছে। এ ছাড়া মারধরের পর দুই দফায় ১০০ জনকে মুক্তি দিয়েছে অপহরণকারীরা। এদের মধ্যে প্রথম দফায় ৩০ এবং পরে ৭০ জন মুক্তি পায়। প্রথম দফায় মুক্তিপ্রাপ্তরা গুরুতর আহত হওয়ায় তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাকি চারজন অপহরণকারীদের জিম্মায় আছে। এই চার লেবু বাগান মালিকের মুক্তির জন্য পণ দাবি করছে তারা।
অপহরণের শিকার লেবু চাষিরা জানান, ১০ জন ব্যক্তি অস্ত্রের মুখে তাদেরকে অপহরণ করে। তাদের মধ্যে তিনজন ছিল মুখোশধারী। অপহরণের পর চাষিদের গহীন জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদেরকে প্রহর করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপহৃত বোয়ালখালীর বাসিন্দা এক লেবু বাগান মালিক জানান, প্রতিদিনের মতো সকালে তারা কড়লড়েঙ্গা পাহাড়ে কাজ করতে যান। দুপুরের দিকে ১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল অস্ত্রের মুখে ১০৭ জন লেবুচাষি ও বাগান মালিককে জিম্মি করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের গহীনে নিয়ে গিয়ে তাদের মারধর করে। পরে আহত অবস্থায় ১০০ জন শ্রমিককে সন্ত্রাসীরা ছেড়ে দিয়ে বাকি সাতজন বাগান মালিককে আটকে রাখে। তাদের মধ্যে তিনজন পটিয়ার ও চারজন বোয়ালখালীর বাসিন্দা। এদের মধ্য আবুল ফয়েজ, আবুল কালাম ও মো. জাবেদুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে সন্ধ্যায় ছেড়ে দেয়। একই এলাকার মো. হাসান ইমনসহ পটিয়ার তিনজনকে মুক্তিপণ না দেওয়ায় জিম্মি করে রেখেছে অপহরণকারীরা।
কড়লডেঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ হারুন রিপন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাগান মালিক ও লেবুচাষিদের ধরে নিয়ে যাওয়ার পর কয়েকজনকে মারধর করে ছেড়ে দিয়েছে। এরপর বিষয়টি এলাকাবাসি ও পরিবারের লোকজন অবহিত হয়। এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে বোয়ালখালী ও পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে। ‘ এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে বলেও জানান তিনি।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, ‘অপহরণের বিষয়টি স্থানীয়রা থানায় জানিয়েছে। অপহৃতদের উদ্ধারে পটিয়া ও বোয়ালখালী থানা পুলিশ পাহড়ে যৌথ অভিযান পরিচালন করছে। ‘