মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা : গেটকিপার ও মাইক্রোচালককে দায়ী করল তদন্ত কমিটি

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরণা এলাকায় মহানগর প্রভাতী ও পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে রেলওয়ের বিভাগীয় তদন্ত কমিটি।

প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার জন্য প্রধানত লেভেল ক্রসিংয়ের দায়িত্বরত গেটটকিপার সাদ্দাম হোসেনকে দায়ী করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলেই মারা যাওয়া মাইক্রোবাসচালক গোলাম মোস্তফা নিরুকেও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে।

তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও ১৯ দিন পর প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি।

আজ বুধবার (১৭আগস্ট) সকলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন  রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবুল কালাম। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি।

এ বিষয়ে আবুল কালাম বলেন, ‘মিরসরাইয়ের দুর্ঘটনার জন্য গেটকিপার ও মাইক্রোবাসচালককে দায়ী করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে গেটকিপার সাদ্দাম হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। যেহেতু প্রতিবেদনে তাঁর গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে, সেজন্য তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেব।’

ওই দুর্ঘটনায় মাইক্রোচালক মোস্তফা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। লেভেল ক্রসিংয়ের গেটকিপার সাদ্দাম হোসেন গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই বেলা দেড়টার দিকে খৈয়াছড়া ঝরনা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মাইক্রোবাসের পর্যটকেরা। পরে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া এলাকায় লাইনে উঠে পড়া মাইক্রোবাসটিকে দ্রুতগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেন টেনে হিঁচড়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন মারা যান। পরে মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দু’জন মারা গেছেন।

দুর্ঘটনায় নিহত ১৩ জনের সবাই মাইক্রোবাসের আরোহী ছিলেন। এদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারি উপজেলায়। নিহতের মধ্যে ১১ জনই ছিল বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী।

দেশী টুয়েন্টিফোরমিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা : গেটকিপার ও মাইক্রোচালককে দায়ী করল তদন্ত কমিটি
Comments (0)
Add Comment