পাবনার সুজানগর উপজেলায় ছাগলে জমির ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে আজম বিশ্বাস ও আকাই শেখ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গত রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের চলনা গ্রামের মাদারতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এরশাদ শেখ (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষে আরো অন্তত ৪-৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহত এরশাদ শেখ চলনা গ্রামের মাদারতলা এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, রবিবার বিকেলে ছাগলে জমির ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে আজম আলী বিশ্বাস ও আকাই শেখ গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে আগে থেকে পারিবারিক কলহ ছিল। পরে রাতে তারা অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলিও চলে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ এরশাদ শেখকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় আবারও উত্তেজনা দেখা দেয় এবং বেশ কিছু বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আজ বিকেলেও বিক্ষুদ্ধ জনতা সুজানগর থানার সামনে এরশাদ শেখের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
সুজানগর সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। ছাগলে জমির ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত বলে প্রাথমিক তথ্য পেয়েছি। ’
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান কালের কণ্ঠকে জানান, নিহতের বাবা মোয়াজ্জেম শেখ বাদী হয়ে হালিম বিশ্বাসকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ বিএনপি নেতা আজম আলী বিশ্বাসসহ তিন জনকে আটক করেছে।