কুড়িগ্রামে চলমান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আরো তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তি হলেন, ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুল ইসলাম, বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহেল চৌধুরী ও পিয়ন সুজন মিয়া।
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো: মাহফুজুল ইসলাম জানান, এসএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় হামিদুল ও সোহেলকে বুধবার সকালে এবং সবুজকে রাতে গ্রেফতার করা হয়।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এসপি বলেন, ‘যারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ তিন স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার শিক্ষকরা হলেন ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সচিব লুৎফুর রহমান এবং বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষক জুবায়ের হোসেন ও আমিনুর রহমান।
চলমান এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্নভাবে অভিভাবকদের হাতে চলে যায়।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, সচিব অধ্যাপক জহির উদ্দিন, জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম, দিনাজপুরের পুলিশ সুপার আল আসাদ মাহফুজুল ইসলাম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলমসহ অন্যরা অভিযোগটি তদন্ত করে তিনজনের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেয়েছেন।
এদিকে কুড়িগ্রামে প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলার এসএসসি পরীক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ছাড়াও এক তারিখের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করার দাবি জানান।
এ ঘটনায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ফারাজ উদ্দিনকে প্রধান করে প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত গঠন করা হয়েছে।