অনলাইন ডেস্কঃ
অবশেষে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহানকে তালাক দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) আদালতে দেয়া লিখিত জবাবে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে তার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার স্ত্রী।
আল-আমিনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান জানান, স্ত্রীর করা মামলার আসামি আল-আমিন বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থিত হয়ে হাজিরা দেন। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে লিখিত জবাব দাখিল করেন। যেখানে উল্লেখ করা হয় যে, গত ২৫ আগস্ট তিনি স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। তবে তার স্ত্রী তালাক সংক্রান্ত কোনো কাগজ পাননি।
এ ব্যাপারে আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান বলেন, আমি তালাকের বিষয়ে কিছুই পাইনি। আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না। আমি ন্যায়বিচার চাই।
সর্বশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর তার মায়ের মাধ্যমে স্ত্রী ইসরাতের সাথে আর সংসার না করার ও সন্তানদের ভরণপোষণ না দেয়ার কথা জানান আল-আমিন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে বাসা থেকে বের করে দেয়ার ও তালাকের কথাও জানান তিনি। তার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তিনি একজন নারীর সাথে ওঠানো ছবি স্ত্রী ইসরাতের কাছে পাঠিয়েছেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর আদালতে আল-আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ইসরাত জাহান। মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিয়ে হয় আল-আমিন ও ইসরাতের। তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে আল-আমিন স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণ-পোষণ দেন না এবং খোঁজ খবর না নিয়ে এড়িয়ে চলছেন। গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল-আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল-আমিন তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে তার সাথে সংসার করবে না বলে জানান। ইসরাত জাহান ৯৯৯-এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, আল-আমিন স্ত্রী-সন্তানদের বাসা থেকে বের করে অন্যত্র বিয়ে করবেন বলে জানান। দু‘বছর ধরে তিনি স্ত্রীর খোঁজখবর নেন না এবং বাসায় নিয়মিত থাকেন না। যার কারণে ইসরাত তার দুই সন্তানসহ বসতবাড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার অধিকারসহ মাসিক ভরণ-পোষণের দাবি করে মামলাটি করেন। জীবনধারণের জন্য ৪০ হাজার, দুই সন্তানের ভরণ-পোষণ ও ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়াবাবদ মাসে ৬০ হাজার টাকা আল-আমিনের কাছে পাওয়ার হকদার বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এই মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে ২৭ সেপ্টেম্বর জামিন পান আল-আমিন। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।