অনলাইন ডেস্ক:
বিক্ষোভের মুখে চীন তাদের কঠোর কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পর্যটকদের জন্য কোয়ারেন্টিন বিধিমালা বাতিল করার মতো পদক্ষেপও। কিন্তু তাদের এই পদক্ষেপ বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব পড়বে, তার ওপর চোখ রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ চীনের করোনার সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
গত সোমবার বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের বিধি বাতিলের ঘোষণা দেয় চীন। ঘোষণা অনুযায়ী, ৮ জানুয়ারি থেকে এ বিধি আর কার্যকর থাকবে না। এই ঘোষণা আসার পর থেকে বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ছড়ানো নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
করোনার সংক্রমণ যাতে বাড়তে না পারে, সে জন্য ভারত ও জাপান সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও চীন থেকে আসা ব্যক্তিদের ওপর নতুন কোভিড টেস্ট ও বিধিনিষেধ আরোপ করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, চীনের করোনার সংক্রমণ ঘিরে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। তাই তাঁদের সতর্ক থাকতে হচ্ছে। মালয়েশিয়া ও তাইওয়ানও চীনে নতুন করে সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার সংক্রমণ রোগবিশেষজ্ঞ ডমিনিক ড্রয়ার বলেন, ‘কোভিড তথ্য নিয়ে চীনের স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এ মুহূর্তে দেশটিতে করোনার কোন ধরন বেশি ছড়াচ্ছে, তা আমরা জানতে পারছি না। করোনার টিকা এই ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর কি না, এ তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে না।’
২০২০ সাল থেকে শূন্য করোনা নীতির আওতায় চীনে করোনার কঠোর বিধিনিষেধ চলছিল। সম্প্রতি ওই বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামেন দেশটির অনেক শহরের বাসিন্দা। এরপর চলতি মাসের শুরুর দিকে বেশির ভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেয় চীন সরকার। তার পর থেকেই দেশটিতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে চীন।
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে যে, দেশটিতে নতুন করে কোভিড ঢেউ আঘাতের বিষয়ে উদ্বেগের মধ্যে চীনের হাসপাতালগুলোতে রোগী দিয়ে পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। খবর বিবিসির।
ডাঃ মাইকেল রায়ান বলেছেন, হাসপাতালগুলোর নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) রোগী দিয়ে পূর্ণ থাকলেও কর্মকর্তারা বলছেন এর সংখ্যা আনুপাতিক হারে কম।