১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর গনহত্যা চালালে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।
১০ এপ্রিল কলকাতায় প্রবাসী সরকার গঠন করা হয়েছিল। এদিন “বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে (In order to ensure for the people of Bangladesh equality, human dignity and social justice) বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে” আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ঘোষণাপত্র’ (The Proclamation of Independence)। এই স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে ঘোষণা করা হয়।
এ ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন দেয়া হয়।
অধ্যাপক এম. ইউসুফ আলীর স্বাক্ষরিত স্বাধীনতার এ ঘোষণাপত্রে- সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে (অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম) প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে প্রজাতন্ত্রের উপ-রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়।
এ ছাড়াও তাজউদ্দীন আহমদকে অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী, খন্দকার মোশতাক আহমেদ সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী নিযুক্ত হন।
অপরদিকে জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী অস্থায়ী সরকারের মুক্তিবাহিনীর প্রধান অধিনায়ক (প্রধান সেনাপতি) এবং মেজর জেনারেল আবদুর রব চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত হন।
সরকার গঠনের পর ১০ এপ্রিল কলকাতার ‘আকাশবাণী’ থেকে এই সংবাদ সম্প্রচারিত হয়। ১১ এপ্রিল ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ থেকে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ভাষণ প্রচারিত হয়। ১০ এপ্রিল সরকার গঠনের পর ১৭ এপ্রিল প্রকাশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার মুজিবনগরে বাংলাদেশের জনগণের বৈধ প্রতিনিধি বিপ্লবী বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণ করে।
অস্থায়ী সরকারের নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
যেভাবে সরকার গঠন হয়ঃ
১৭ এপ্রিল সকাল ৯টায় তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কর্নেল (অব.) এমএজি ওসমানীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় এসে পৌঁছায়। আশে-পাশের গ্রামগুলো থেকে কিছুসংখ্যক চেয়ার জোগাড় করা হয় নেতৃবৃন্দের বসার জন্য। সেসব চেয়ারের অধিকাংশগুলোরই হাতল ছিল না। বেলা ১১টা নাগাদ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে আশে-পাশের গ্রামের প্রায় দুই হাজার লোক জমায়েত হয় এবং শতাধিক বিদেশি সাংবাদিক, ফটোগ্রাফার ও টিভি ক্যামেরাম্যান উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান ও ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম কোলকাতা থেকে এই সাংবাদিকদের নিয়ে আসেন।
মেহেরপুর মহকুমা প্রশাসক ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী জিপে করে তাজউদ্দীন আহম্মদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এমএজি ওসমানী ও অন্যান্য কয়েকজনকে মঞ্চের ৫০ গজের মধ্যে তোরণের কাছে নিয়ে গেলেন। মঞ্চ হতে ৮০ গজ দূরে কাঁচামাটির উপর আরও একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়। সেই মঞ্চেই উপবিষ্ট বিশিষ্ট অতিথিবর্গ।
প্রধান মঞ্চের পেছনদিকে ছোট আরেকটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। তার সঙ্গেই লাগানো পতাকাদণ্ড। নেতৃবৃন্দ সেখান থেকে মুক্তিসেনাদের অভিবাদন গ্রহণ করেন। অভিবাদনের সময় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন কর্নেল (জেনারেল) ওসমানী। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম যখন পতাকা উত্তোলন করছিলেন তখন সাংবাদিকরা তাদের চতুর্দিকে ঘিরে দাঁড়ান। পতাকা উত্তোলনের সময় একটি ছোট দল জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গায়।
গার্ড অব অনারের পর মন্ত্রিসভার সদস্যরা মঞ্চে উপবেশন করেন। এরপর মন্ত্রিসভার সদস্য প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, আইন সংসদীয় বিষয়ক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এইচএম কামারুজ্জামান এবং অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলীকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
অধ্যাপক ইউসুফ আলী স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন, যেটি তৈরি করেন ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম। অধ্যাপক আব্দুল মান্নান অনুষ্ঠানসূচি ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠের পর অধ্যাপক ইউসুফ আলী নবগঠিত বাংলাদেশ সরকারের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। শপথ অনুষ্ঠানের পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম অভিভাষণ দান করেন। রাষ্ট্রপতির পরে তাজউদ্দীন আহম্মদ সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তৃতা করেন। তিনি ঘোষণা করেন লক্ষ লক্ষ মৃতদেহের নিচে পাকিস্তান সমাধিস্থ হয়েছে। আর সেই সমাধির ওপর একটি নতুন জাতির জন্ম হল, সেই জাতি হল বাংলাদেশ। উপস্থিত জনগণ এই ঘোষণাকে অভিনন্দিত করে।
এই অনুষ্ঠান চলাকালীন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, ক্যাপ্টেন হাফিজ, ক্যাপ্টেন আজম চৌধুরী, ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাসহ সেখানে উপস্থিত হন। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এরপর অনুষ্ঠানে উপস্থিত মেহেরপুরের মহকুমা প্রশাসক ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বেসামরিক ব্যক্তিদের মধ্যে পাবনার তৎকালীন জেলা প্রশাসক নূরুল কাদের এবং যশোর, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গার কয়েকজন পদস্থ প্রকৌশলীকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এভাবেই বেলা দেড়টার দিকে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
একই দিন ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ম্বাধীনতা ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ‘আইনের ধারাবাহিকতা বলবৎকরণ আদেশ’ নামে একটি অধ্যাদেশ জারি করেন। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের যেসব আইন চালু ছিল তা রক্ষার্থে এটি করা হয়।
ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম রচিত, অধ্যাপক ইউসুফ আলী পঠিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাংলাদেশের মূল সাংবিধানিক ভিত্তি। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র আইনগত বৈধতা প্রদান করে স্বাধীনতা সংগ্রামের। বাংলাদেশের সংবিধানেও সংযোজিত রয়েছে এই ঘোষণাপত্র। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি নিম্নে দেওয়া হল:
————————————–
স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র
স্থানঃ মুজিবনগর, বাংলাদেশ
তারিখ: ১০ এপ্রিল ১৯৭১
————————————–
যেহেতু একটি শাসনতন্ত্র (সংবিধান) রচনার উদ্দেশ্যে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়;
এবং
যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ ১৬৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় ১৬৭ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছিল;
এবং
যেহেতু জেনারেল ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সনের ৩রা মার্চ তারিখে শাসনতন্ত্র রচনার উদ্দেশ্যে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন আহ্বান করেন;
এবং
যেহেতু তিনি আহূত এই অধিবেশন স্বেচ্ছায় এবং বেআইনীভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন;
এবং
যেহেতু পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করার পরিবর্তে বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে পারষ্পরিক আলোচনাকালে ন্যায়নীতি বহির্ভূত এবং বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ ঘোষণা করেন;
এবং
যেহেতু উল্লিখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান;
এবং
যেহেতু পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনা করেছে এবং এখনও বাংলাদেশের বেসামরিক ও নিরস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন গণহত্যা ও নির্যাতন চালাচ্ছে;
এবং
যেহেতু পাকিস্তান সরকার অন্যায় যুদ্ধ ও গণহত্য এবং নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার পরিচালনার দ্বারা বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের পক্ষে একত্রিত হয়ে শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব কে তুলেছে;
এবং
যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের উপর তাদের কার্যকরি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে;
সেহেতু সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি যে ম্যান্ডেট দিয়েছেন সে ম্যান্ডেট মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারষ্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে “বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে” (In order to ensure for the people of Bangladesh equality, human dignity and social justice,) বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র ঘোষণা করছি এবং এর দ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি;
এবং
এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন;
এবং
রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন; ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতাসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী থাকবেন;
এবং
তাঁর কর ধার্য ও অর্থব্যয়ের ক্ষমতা থাকবে;
এবং
বাংলাদেশের জনসাধারণের জন্য আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় সকল ক্ষমতারও তিনি অধিকারী হবেন।
বাংলাদেশের জনগণ দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, কোন কারণে যদি রাষ্ট্রপ্রধান না থাকেন অথবা যদি রাষ্ট্রপ্রধান কাজে যোগদান করতে না পারেন অথবা তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যদি অক্ষম হন, তবে রাষ্ট্রপ্রধান প্রদত্ত সকল দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পালন করবেন।
আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, বিশ্বের একটি জাতি হিসাবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য বর্তেছে তা যথাযথভাবে আমরা পালন করব।
আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।
আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য আমরা অধ্যাপক এম. ইউসুফ আলীকে যথাযথভাবে রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য দায়িত্ব অর্পণ ও নিযুক্ত করলাম।
স্বাক্ষর: অধ্যাপক এম. ইউসুফ আলী
বাংলাদেশ গণপরিষদের ক্ষমতা দ্বারাএবং ক্ষমতাবলে যথাবিধি সর্বাধিক ক্ষমতাধিকারী।