এর মূল লক্ষ্য ২০০ কোটি ব্যবহারকারীর সামাজিক মাধ্যমটির সঙ্গে যারা কাজ করেন তাদের সবাইকে একত্রিত করে নতুন নতুন অ্যাপ ও অন্যান্য সৃজনশীল উদ্ভাবন মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
নতুন কিছু বাজারে আসার উপলক্ষ হিসেবে পরিচিত এই ফেসবুক এফ-৮। ১৮-১৯ এপ্রিল দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের প্রথম দিন শেষে যে চারটি সুসংবাদ পাওয়া গেল তা হচ্ছে :
১। এআর স্টুডিও : আসল ছবির উপর ডিজিটাল ছবি বসিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত অগমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর) নিয়ে ফেসবুক ও প্রতিদ্বন্দ্বী ¯œ্যাপচ্যাটের মধ্যে প্রতিযোগিতা অনেক দিনের। কিন্তু এআর স্টুডিও এই চিত্র সম্পূর্ণ বদলে দেবে বলে মনে হয়। এআর প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ডেভেলপাররা ফেসবুকের বিপুল কম্পিউটিং ক্ষমতা ব্যবহার করে দামি ও জটিল প্রযুক্তি ছাড়াই ছবি শনাক্তকরণসহ অন্যান্য কাজ করতে পারবে, আর এর সিংহভাগ সম্ভব হবে এআর স্টুডিওর কারণে। ফলে ¯œ্যাপচ্যাটকে পেছনে ফেলে ফেসবুক এখন অগমেন্টেড রিয়ালিটির সেরা স্থানে পরিণত হলো।
২। আরও কর্মক্ষম মেসেঞ্জার : মেসেঞ্জার- এর প্রধান ডেভিড মার্কাস অ্যাপটিতে এক গাদা নতুন সংযোজন করতে চলেছেন। বিশেষত উইচ্যাট নামক বিশাল চীনা অ্যাপের মাধ্যমে একটি অ্যাপ দিয়েই একাধিক অ্যাপের কাজ চালানো যাবে।
৩। ভিআর দিয়ে আড্ডা : ফেসবুকেরও কালাস ভিআর কিনে নেওয়ার পেছনে কারণ ছিল যে, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি (ভিআর) শুধু গেমিং নয়, সামাজিক মাধ্যমেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। ফেসবুক স্পেসেস তারই ফল। কিন্তু শক্তিশালী পিসি ব্যবহার করতে হয় বলে এর খরচ পড়বে অনেক। মার্ক জুকারবার্গ তা স্বীকার করলেও এখনও এর বিকল্প হিসেবে কিছু দিতে পারেননি।
৪। ওয়ার্কপ্লেস : ফেসবুক এই অ্যাপটির একটি মুক্ত সংস্করণ বছর শেষে ছাড়ার কথা বলছে। স্ল্যাক-এর বিকল্প হিসেবে তৈরি ওয়ার্কপ্লেস সৃজনশীলতা বৃদ্ধির কাজে লাগবে।