অনলাইন ডেস্ক:
তক্ষীরায় নবম শ্রেণির ছাত্রী তাসনিম রহমান তিশার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের পর আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা হয়েছে। এতে রিপন (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও প্রধান আসামি রাজ এখনও পলাতক রয়েছে। এদিকে, পুলিশ বলছে, এটি হত্যা, না-কি আত্মহত্যা, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর বলা যাবে।
আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম। গ্রেপ্তার রিপন পলাশপোলের ওজিয়ার রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় সাতক্ষীরা টার্মিনাল এলাকার বাসা থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী তাসনিম রহমান তিশার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা জিয়াউর রহমান তিনজনকে আসামি করে আজ দুপুর ১২টায় সদর থানায় অভিযোগ করেন। পরে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলা হিসেবে নিয়ে মুঠোফোনের সূত্র ধরে রাজের বন্ধু রিপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে একটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। পরে কললিস্ট চেক করে রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।’
নিহত তিশার বাবা জিয়াউর রহমান মিশন বলেন, ‘আমার মেয়েকে রাজ বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করত। একপর্যায়ে সে হুমকি-ধমকি দিত। কয়েকদিন ধরে সে আমার মেয়েকে বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করে। ধারণা করছি—তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ মো. ফখরুল আলম খান বলেন, ‘ঘটনাটি হত্যা, না কি আত্মহত্যা, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। প্রধান আসামি রাজ শহরের টার্মিনাল এলাকার বাসিন্দা। সে পলাতক আছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া আটক আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’