চারদিকে অথৈ পানি, অথচ খাওয়ার পানি নেই

অনলাইন ডেস্ক:

বিশ্ব পানি দিবস আজ। দিনটি পালনে দেশে যখন নানা আয়োজন, তখন নিরাপদ পানির জন্য নিরন্তর সংগ্রাম সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বাসিন্দাদের। তাদের চারদিকে অথৈ পানি, অথচ খাওয়ার পানি নেই। প্রতিবছর নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখানকার নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করে নোনাপানি। যা চলে যায় মাটির গভীরে নলকূপেও।

এই পানি পানের ফলে পেট ব্যথা, ডায়রিয়াসহ নানান জটিল রোগে ভোগেন এলাকার বাসিন্দারা। পানির দেশে বিশুদ্ধ পানির অভাবে এ যেন এক দুর্বিষহ জীবন তাদের।

এখানে সুপেয় পানির জন্য প্রতিদিন হাটতে হয় মাইলের পর মাইল। অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সংকট প্রশমনে সরকারি উদ্যোগ আছে, পাশাপাশি বেসরকারি সহায়তায় বসেছে কিছু ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। কিন্তু এতেও কি হচ্ছে সমস্যার সমাধান ?

এলাকার বাসিন্দারা বলেন, দূরদূরান্ত থেকে পানি নিতে আসতে হয়। একটা প্লান্ট তাই অপেক্ষাও করতে হয় অনেকক্ষণ।

সাতক্ষীরার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন, সুপেয় পানির সংকট নিরসনে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলো কাজ করে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে পানির ট্যাংকি প্রদান করা হয়েছে। যেসব এলাকার গভীর নলকূপ থেকে লোনা পানি উঠে সেসব এলাকায় পুকুর কেটে সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা সুপেয় পানির সংকটে কাজ করে যাচ্ছি। গভীর ও অগভীর নলকূপ স্থাপন করছি। রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্লান্ট স্থাপন করছি। আইরন ও আর্সেনিক দূরীকরণেও আমরা কাজ করছি। আশা করি অচিরেই সুপেয় খাবার পানি সংকট দূর হবে।

২০০৭ এ সিডর আর ২০০৯ সালে আইলার পর দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অনেক জনপদে সুপেয় পানির অভাব বেড়েছে বহুগুণে।

অথচ খাওয়ার পানি নেইচারদিকে অথৈ পানিদেশী টুয়েন্টিফোর
Comments (0)
Add Comment