অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। ১০ দিন আগেও যে বেগুনের দাম ছিল ৫০-৬০ টাকা।
বাজারে আসা গার্মেন্টস কর্মী রফিক বলেন, রমজান আসলে বেগুনের দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তবে এতো বাড়বে কেন? এছাড়াও বাজারে ৫০ টাকার নিচে শুধু পেঁপে ছাড়া আর কোনো সবজি নেই। তাহলে আমরা খাবো কী?
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে বেগুনের সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি, তাই দামও বেশি। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তারা।
আজ বুধবার (২২ মার্চ) কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সজনে ১২০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৭০-৮০ টাকা এবং আকার ভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি লাউ।
আকার ভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি লেবু। লেবুর দাম এত বেশি কেন? জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান, ইফতারে সবাই লেবুর শরবত খায়, তাই লেবুর চাহিদাও বেশি থাকে। ফলে রমজান আসলেই লেবুর দাম কিছুটা বেড়ে যায়।’
প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়। এ ছাড়া, চিনি ১১০ টাকা, মসুর ডাল ১৩৫-১৪০ টাকা, খেসারি ডাল ৭৪ টাকা, অ্যাংকরের বেসন ৭৫ টাকা, বুটের বেসন ১০০ টাকা এবং মুড়ি ৮০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়, খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায় এবং ছাগলের মাংস ৯০০ টাকায়। মাংস বিক্রেতা মফিজ মিয়া বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে যেমন বিক্রির আশা করেছিলাম তার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম হয়েছে। গত রমজানের আগে যেমন বিক্রি করেছিলাম এবার তেমন হচ্ছে না।’
বাজারে মান ভেদে ৫০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি খেজুর। এ ছাড়া, আপেল ২৮০-৩০০ টাকা, মাল্টা ২০০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি কাঁচা আম পাওয়া যাচ্ছে ১৮০ টাকায়, তরমুজ ৪০ টাকায় এবং আকার ভেদে প্রতি পিস ৬০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বেল।