অনলাইন ডেস্ক:
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিয়ানমার জেনোসাইড চালিয়েছে, এমন অভিযোগে দেশটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করে গাম্বিয়া। এরই মধ্যে এই মামলার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছে গাম্বিয়া। তবে এসব যুক্তির বিষয়ে আদালতে এখনও কোনো অবস্থান তুলে ধরেনি মিয়ানমার।
গাম্বিয়ার অবস্থানের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আবারও সময় আবেদন করে মিয়ানমার। সময় আবেদনে মিয়ানমার উল্লেখ করেছে, মামলা সংক্রান্ত নথি বার্মিজ বা ইংরেজী ভাষায় অনুবাদের প্রয়োজন। এছাড়া ২০২১ সালে মিয়ানমারে সরকার পরিবর্তন এবং করোনা পরিস্থিতির কারণে তারা এখনও ব্যাখ্যা তৈরী করতে পারেনি।
বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের বক্তব্য নিতে চায় মিয়ানমার বা অতিদ্রুত তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা হবে বলেও সময় আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে আদালতে এই সময় আবেদনের বিরোধিতা করে গাম্বিয়া। গাম্বিয়া জানায়, মিয়ানমারে সরকার পরিবর্তন এবং করোনা পরিস্থিতি এই দুই বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তাদের সময় দেবার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই।
এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলতে বাংলাদেশ অনুমিত দেবে এই সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে উল্লেখ করে গাম্বিয়া। এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ফিরে যাবে এই সম্ভাবনা নেই বলেও আদালতকে জানায় গাম্বিয়া।
উভয় দেশের বক্তব্য শুনে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত, মিয়ানমারকে তাদের অবস্থান আদালতের সামনে তুলে ধরতে ২৪ মে পর্যন্ত সময় দেন।