অনলাইন ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক বাজারে বুধবার ( ১০ মে) তেলের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। টানা ৩ দিন বৃদ্ধির পর জ্বালানি পণ্যটির দাম কমলো। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে অপ্রত্যাশিতভাবে তেলের মজুত বেড়েছে। ফলে চাহিদা কমার উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া দেশটির মূল্যস্ফীতির তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছেন বিনিয়োগকারীরা। যেটি সুদহার নিয়ে ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করে দেবে। ফলে জ্বালানি পণ্যটির দর কমেছে।
চলতি সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের দরপতন ঘটেছে ৫২ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। প্রতি ব্যারেলের (১৫৯ লিটার) মূল্য স্থির হয়েছে ৭৬ ডলার ৯২ সেন্টে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক অপরিশোধি ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম নিম্নমুখী হয়েছে ৪৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। ব্যারেলপ্রতি মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ৭৩ ডলার ২২ সেন্টে।
মঙ্গলবার (৯ মে) আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, ৫ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে শীর্ষ ভোক্তা যুক্তরাষ্ট্রের তেলের মজুত বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন ব্যারেল। আর গ্যাসোলিন বা পেট্রলের মজুত বেড়েছে ৩ লাখ ৯৯ ব্যারেল।
এছাড়া দ্বিতীয় বৃহৎ ভোক্তা চীনে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নমনীয় হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আমদানি কমে যাবে। ফলে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা কমার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ফিলিপ নোভা প্রাইভেট লিমিটেডের বিশ্লেষক প্রিয়াঙ্কা সাচদেবা বলেন, আমার মতে; মার্কিন অর্থনীতি শ্লথ আছে। এ নিয়ে আসন্ন তথ্যে নজর রাখা উচিত তেলে বিনিয়োগকারীদের।