অনলাইন ডেস্ক:
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ ও সহিংসতায় কমপক্ষে আটজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৯০ জনেরও বেশি। বিক্ষোভ-সহিংসতার মধ্যে চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। ইতোমধ্যে এক হাজার ৯০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। এদের অনেককে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।
রাজধানী ইসলামাবাদসহ পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। দেশটিতে ইমরান খান গ্রেপ্তার হওয়ার পর দুই দিন ধরে রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমেই সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে।
রাজধানী ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ হয়। সেখানে ১৪৪ ধারা অমান্য করে বিক্ষোভ করেন পিটিআই সমর্থকরা। সেখানে অন্তত ২০০ পিটিআই সমর্থক ও বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৭ সদস্য আহত হয়েছেন। সেখানে রমনা পুলিশ স্টেশনে হামলা চালানো হয়। তুলে ফেলা হয় রেললাইন।
রাওয়ালপিন্ডিতে আটক করা হয়েছে ১৯০ পিটিআই নেতাকর্মীকে। ৫২ জনকে আদিয়ালা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-বিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।
লাহোরে বিক্ষুব্ধ জনতা সাদমান পুলিশ স্টেশন অবরুদ্ধ করে রাখে এবং ভাংচুর চালায়। সেখানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। পিটিআইয়ের ক্ষুব্ধ কর্মীরা গভর্নর হাউস ও চিফ মিনিস্টারের সচিবালয়ে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন।
এক বিবৃতিতে পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, প্রদেশে সরকারি সম্পত্তি, পুলিশ ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রদেশজুড়ে সহিংস কর্মকাণ্ড, ভাঙচুর, সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষতিতে জড়িত দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের হামলায় ১৩০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ প্রদেশজুড়ে ৯৪৫ আইন ভঙ্গকারী ও দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
ইমরান খানকে গত মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বর থেকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় ইমরানকে হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পাকিস্তান।