অনলাইন ডেস্ক:
অনিয়মসহ নানা অব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জনতা ব্যাংক লিমিটেডের খেলাপি ঋণ ছাড়িয়েছে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা। বিপরীতে প্রভিশন রাখতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। গত কয়েক বছর ধরে প্রয়োজনীয় প্রভিশন রাখতে নিয়েছে অতিরিক্ত সময় বা ডেফারেল।
ব্যাংকটির বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য মতে, সবমিলিয়ে ডেফারেল নেওয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। সবশেষে ওরিয়ন ইনফ্রাস্টাকচার লিমিটেডের ৪২৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা প্রভিশন সংরক্ষণে ১০ বছর সময় চায় ব্যাংকটি। যা অনুমোদনও করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংকটির ধারাবাহিক অনিয়মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ছাড়ে হতাশ বিশেষজ্ঞরা। জনতা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. জামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংককে আপনি বাঁচাবেন, কিন্তু সে অন্যায় করলে তার বিচার করবেন না? সে দুর্নীতি করবে আর আপনি তাকে ছাড় দিবেন, এটা হতে পারে না। এটা হওয়া উচিত না।’
খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের টার্গেট সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে আছে ৮ হাজার কোটি। এ অবস্থায় ঝুঁকিতে গ্রাহকের আমানত। তাই ঋণ বিতরণে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ সাবেক এই চেয়ারম্যানের।
ড. জামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এ টাকা তো ফেরত দিতে পারছে না। সে টাকা যদি আপনি ফেরত না আনতে পারেন, তাহলে এটি আপনার দোষ। এদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।’
এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও দেখা করতে রাজি হননি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা।