অনলাইন ডেস্ক:
ইউক্রেনের বাখমুত পুরোপুরি দখল করার দাবি করেছে রাশিয়া। পূর্বাঞ্চলীয় সমতলের বড় শহরটি দখলে নেওয়ার জন্য রুশ সেনা ও ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর আলজাজিরার।
গতকাল শনিবার (২০ মে) রাশিয়ার বাখমুত দখলের এ ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে কিয়েভ পরিস্থিতি ‘সংকটজনক’ স্বীকার করে যুদ্ধ এখনও অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ১৫ মাসের মধ্যে বাখমুতে দীর্ঘতম ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। শহরটিতে একসময় ৭০ হাজার মানুষ বাস করতেন।
বাখমুত নিয়ে লড়াইয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় দেশেরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘাতে মস্কোর এটি প্রথম বড় জয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “দক্ষিণের ইউনিটের আর্টিলারি ও বিমান সেনাদের সহায়তায় ওয়াগনার বাহিনীর আক্রমণে আর্টেমোভস্ক শহর মুক্ত হয়েছে।” বাখমুতের সোভিয়েত যুগে নাম ছিল আর্টেমোভস্ক।
শহরটিতে সফল অভিযান সম্পন্ন করার জন্য ওয়াগনারের আক্রমণ ইউনিট এবং তাদের সহায়তাকারী রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যারা নিজেদের আলাদা প্রমাণ করেছেন, তাদের পুরস্কার দেওয়া হবে। ক্রেমলিনের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস।
এর আগে ভারাটে বাহিনী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের টেলিগ্রামে পোস্ট করা ভিডিওতে বাখমুত তাদের হাতে পতন হয়েছে বলে দাবি করেন এবং সেখানে যোদ্ধাদের ধ্বংসাবশেষের ওপর রাশিয়ার পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
প্রিগোজিন বলেন, “আজ (২০ মে) দুপুরের দিকে বাখমুতকে সম্পূর্ণরূপে দখলে নেওয়া হয়েছে। দখলকৃত শহরটি রাশিয়ার সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করার আগে অনুসন্ধান চালাবে ওয়াগনার যোদ্ধারা। ২৫ মে এর মধ্যে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করব, প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করব এবং সামরিক বাহিনীর হাতে তুলে দেব।”
প্রিগোজিনের ওই ভিডিওতে কামানের শব্দ শোনা যায়।