অনলাইন ডেস্ক:
কনটেইনারবাহী লরির নিচে ঘুমিয়ে ছিলো ছেলে। আদরের সন্তান লরির নিচে ঘুমানোর কথা জানতেন না বাবা। তিনি লরিটি চালিয়ে এগোতেই ছেলের আচমকা চিৎকার শুনে থামেন। কিন্তু তার আগেই চাকায় পিষ্ট হয়ে সব শেষ হয়ে যায়। সোমবার (৫ জুন) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরে পৌর এলাকার লোহাগাছ গ্রামে ভিকার ইলেকট্টনিক্স কারখানার ভেতরে এই হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম তন্ময় হোসেন (২১)। তার বাবার নাম মিজানুর রহমান। মিজানুর রহমানের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার হামান কদরী গ্রামে। ছয় মাস ধরে তিনি ছেলে তন্ময়কে লরি চালানো শেখাচ্ছিলেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে কারখানার মালামালের কনটেইনারবাহী লরি নিয়ে গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা হন মিজানুর। সঙ্গে সহকারী হিসেবে ছিলেন তারই ছেলে তন্ময়। ভোররাতে এসে শ্রীপুরের লোহাগাছ এলাকায় পৌঁছানোর পর দুপুর ১২টার দিকে লরি থেকে কারখানায় কনটেইনার নামানো শুরু হয়। বেলা ২টার দিকে লরি থেকে কনটেইনার নামানো শেষ হয়। এরপর ছেলেকে কারখানা থেকে গেট পাস আনতে বলি। এরপর আমি একটু ঘুমিয়ে পড়ি। আমি ঘুম থেকে উঠে গাড়িটি কারখানার মূল ফটকের বাইরে পাকা সড়কে নেয়ার জন্য জন্য টান দিই। টান দেয়ার পরপরই গাড়ির নিচ থেকে একটি শব্দ আসে। আমি গাড়ি থামিয়ে দৌড়ে গিয়ে দেখি আমার ছেলে শেষ।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক তাজমুল করিম বলেন, লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই ওই তরুণের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাবার আবেদনের ভিত্তিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।