মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও সোনারগাঁও থেকে বিভিন্ন গণপরিবহনের চলাচল সকাল থেকেই সিমিত হয়ে যায়। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ তোলে সাধারণ মানুষ।এদিকে গণপরিবহন মালিকদের যানবাহন বন্ধ রাখার কারণ জানতে চাইলে তারা পরিস্কারভাবে এর জবাব দিতে পারেননি।
এদিকে, মুন্সীগঞ্জ থেকে সকালের দিকে ঢাকামুখী সব গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।রোববার সকালে শিমুলিয়া ঘাট এলাকার বাসস্ট্যান্ডে আসা যাত্রীরা অভিযোগ করেন, সকাল ৭টা থেকে ঢাকামুখী সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা করতে গেছে।অন্যদিকে ঢাকা থেকে শিমুলিয়া ঘাটমুখী বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন সকালে বলেন, বিএনপির সমাবেশের কারণেই মালিক সমিতির লোকজন বাস বন্ধ করে দিয়েছে, যাতে দলীয় নেতাকর্মীরা ঢাকায় যেতে না পারেন। এ ধরনের ঘটনা নিন্দাজনক।অপরদিকে ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে প্রায় সব ধরনের সড়ক পরিবহন বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকেই শহরের মেট্রো হল ও চাষাঢ়া কাউন্টার থেকে এসি বাস শীতল পরিবহন কেবল ছেড়ে যাচ্ছে ঢাকার উদ্দেশ্যে। আর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল করলেও নির্ধারিত সময়ে কোনো ট্রেন না ছাড়ায় শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।যাত্রীদের অভিযোগ করেন, সকাল থেকে প্রয়োজনীয় কাজে ঢাকা যাবার জন্য অপেক্ষা করলেও কোনো গণপরিবহন পাননি তারা। উপায় না পেয়ে ট্রেনে ঢাকা যাবার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু ট্রেনও অনেক দেরিতে ছাড়ছে।সেখানকার এক ট্রাফিকের কর্মকর্তা জানান, দেখতে পাচ্ছি বাস চলছে না। তবে এর কারণ আমার জানা নেই। হয়তো কিছুক্ষণ পর থেকে চলতে পারে।জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব বলেন, সকাল থেকেই সমাবেশে দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ ঢাকামুখী হবে এমন ভয়েই সরকার আগেই সব পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে সমাবেশে মানুষ কমানো যাবে না। বরং কর্মজীবী মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি করা হবে।