অনলাইন ডেস্ক:
দেশে চলমান তাপদাহের কারণে আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকছে। এছাড়া আগেই এদিন প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক স্কুলের প্রাথমিক পর্যায়ের শ্রেণিকার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (৭ জুন) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরি স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র কর্তৃক প্রকাশিত ‘তাপ প্রবাহের সতর্কবার্তা’ বিজ্ঞপ্তিতে আগামী পাঁচ থেকে ছয় দিন দেশের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু, মাঝারি এবং তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানা গেছে। ওই তাপ প্রবাহের সতর্কবার্তার কারণে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম ৮ জুন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে, গত ৪ জুন তীব্র দাবদাহের কারণে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম ৫ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৮ জুন) পর্যন্ত বিদ্যালয়ে পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ, এই চার দিন শিশুদের বিদ্যালয়ে যেতে হবে না।
এ বিষয়ে দেওয়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী তীব্র দাবদাহের কারণে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধের পর পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখার ক্লাস-পরীক্ষাও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গত সোমবার (৫ জুন) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব বিদ্যালয়ে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত রয়েছে, সেগুলোর প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শ্রেণি কার্যক্রম আগামী ৮ জুন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) রূপক রায়ের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্কুলে প্রাত্যহিক সমাবেশ স্থগিত থাকবে এবং শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রোদের মধ্যে খেলাধুলাসহ অন্যান্য কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবে। শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত পানি পানের পরামর্শ দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনে নিজ বাসা থেকে পর্যাপ্ত পানি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবে।
এ ছাড়া শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের জন্য প্রতিষ্ঠানের সব জানালা ও দরজা সম্পূর্ণ খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক মিলনায়তন ও কর্মচারীদের কক্ষে প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক পাখা সক্রিয় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।