অনলাইন ডেস্ক:
লিওনেল মেসি সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলালে যোগ দিচ্ছেন। গুঞ্জনটি এতোটাই জোরালো ছিল যে, বিশ্বের বড় বড় গণমাধ্যম জোর দিয়ে বিষয়টির সংবাদ প্রকাশ করেছেন। জোর দিবেই না কেন, আল হিলাল যে রীতিমতো টাকার বস্তা নিয়ে মেসিকে প্রস্তাব দিয়েছেন।
যদিও আকাশ ছোঁয়া বেতনের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে মার্কিন ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেয়ার ঘোষণাদেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। অবশ্য আল হিলালে যোগ না দিলেও সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ মেসি। দেশটির পর্যটন দূত রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’র জয়ী এই তারকা।
মেসি সৌদি আরবের পর্যটন দূত, খবরটি পুরোনো। তবে নতুন খবর হলো কত দিনের চুক্তি মেসির সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির? কত টাকা পাচ্ছেন সদ্য পিএসজিকে বিদায় বলা এই তারকা?
সৌদি আরব ও মেসির চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। যেখানে চুক্তিটা কত দিনের, সৌদি আরব মেসিকে কী পরিমাণ অর্থ দিচ্ছে আর চুক্তির অংশ হিসেবে মেসিকে কী কী করতে হবে, সবই প্রকাশ করেছে তারা।
মেসির সঙ্গে সৌদির চুক্তি অনুযায়ী কয়েকটি বাণিজ্যিক অনুষ্ঠানে উপস্থিতি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু পোস্ট এবং পরিবার নিয়ে দেশটিতে অবকাশযাপন করতে হবে মেসিকে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সম্মানহানি করে, এমন কোনো মন্তব্যও করতে পারবেন না মেসি।
এই চুক্তির মেয়াদ তিন বছরের বেশি সময়। এই সময়ে আড়াই কোটি মার্কিন ডলারের মতো পাবেন মেসি। যা বাংলাদেশি টাকায় পৌনে ৩০০ কোটি টাকার কাছাকাছি।
নিউইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে আলাপে মেসির ব্যবস্থাপক দল ও সৌদি কর্তৃপক্ষের চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী সাবেক ফুটবলার ও ব্যবসায়ী রায়কো গার্সিয়া ক্যাবরেরা বলেন, ‘মেসি বড় অঙ্কের অর্থ না চাওয়ায় আমি বিস্মিত হয়েছিলাম।’
সৌদি আরবের সঙ্গে মেসির চুক্তি :
– বছরে ন্যূনতম একবার পাঁচ দিনের অথবা তিন দিনের দুটি পারিবারিক সফর করতে হবে। সফরের ভ্রমণ ব্যয় ও পাঁচ তারকা হোটেলের আবাসনব্যবস্থার যাবতীয় খরচ বহন করবে সৌদি সরকার। এছাড়া দেশটি মেসির সঙ্গে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব মিলে আরও ২০ জনের খরচও দেবে।
– বছরে ১০ বার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সৌদি আরবের পর্যটন নিয়ে প্রচারণা চালাতে হবে আর সেজন্য মেসি পাবেন ২০ লাখ মার্কিন ডলার।
– সৌদি আরবে বার্ষিক পর্যটন প্রচারণায় অংশ নিতে হবে, এর জন্য পাবেন আরও ২০ লাখ মার্কিন ডলার।
-দাতব্য কাজ ও সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য পাবেন ২০ লাখ মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, গত মাসের শুরুর দিকে মেসির সৌদি আরবের পর্যটনদূত হওয়ার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। ওই সময় পিএসজি থেকে অফিসিয়ালি ছুটি না নিয়েই সৗেদিতে যান মেসি। এর জন্য ক্লাব থেকে দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞায়ও পড়তে হয় তাকে।
সে সময় সবাই ভেবেছিল সৌদি আরবের কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করতে গিয়েছেন! যদিও মেসি পরবর্তীতে ভুল বোঝাবুঝির জন্য দুঃখ প্রকাশ করায় শাস্তি কমে যায়। ক্ষমা চেয়ে একটি ভিডিও বার্তা দেন মেসি, যেখানে এই সফর এড়ানোর সুযোগ ছিল না বলে উল্লেখ করেছিলেন।