অনলাইন ডেস্ক:
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সব কটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হচ্ছে।
সিসিক নির্বাচনে বন্দর বাজার এলাকার দুর্গাকুমার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে কেন্দ্রে আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর ১০টায় তিনি ভোট দেন।
ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। আজকের পরিবেশটা অনেক সুন্দর। বৃষ্টি হলে ভোট কেন্দ্রে আসতে সমস্যা হতো। এখনও বৃষ্টি শুরু হয়নি। এ ব্যাপারটা খুব ভালো লেগেছে। তবে কেন্দ্রে পুরুষদের চেয়ে নারীদের সংখ্যা বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আগে আমেরিকায় ইভিএমে ভোট দিয়েছি। তবে বাংলাদেশে এ প্রথম ইভিএমে ভোট দিলাম। এতে খুব ভালো লাগছে।’
কেন্দ্রে ভোটার কম থাকার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সিলেটের লোকজন একটু দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন। তারা আসবেন; দুপুর ১টার পর দেখবেন, অনেক মানুষ ভোট দিতে আসছেন।
এর আগে, সকাল সোয়া ৮টায় নগরের পাঠানটুলা শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে স্ত্রী হলি চৌধুরীকে নিয়ে ভোট দেন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, নগরবাসী উৎসবের আমেজে ভোট প্রয়োগ করছেন। ইভিএম এ সহজেই ভোট প্রদান করতে পারছেন নগরবাসী।
সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্র অনুযায়ী, নগরের ৪২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এখানে মেয়র পদে ৮ জন এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর পদে ৩৬০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৩৬৪টি। এর মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সিলেট সিটিতে মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন, মো. শাহ্ জামান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা। আর বরিশাল সিটি নির্বাচনের দিন দলের মেয়রপ্রার্থীর ওপর হামলার পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সিলেটের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।