একটি অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসা এই দুর্নীতির কথা স্বীকারও করছে কর্তৃপক্ষ। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
রাজধানীর পল্লবীর জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অফিসে গিয়ে দেখা যায়, নিবন্ধিত হতে এসেছেন স্থানীয়রা। এজন্য লাগছে জন্ম নিবন্ধন, নাগরিকত্ব সনদ ও বিদ্যুৎ বিলের কপিসহ ৫টি বিষয়ের প্রমাণপত্র।
তবে, ঘুষ দিলে লাগবে না এসবের কিছুই। জানালেন রুবেল নামে ই-জোনের এক মাস্টার রোল কর্মচারী।
রুবেলের বক্তব্যের সূত্র ধরে, পাওয়া গেলো আরেক মাস্টার রোল কর্মচারী ওয়াদুদকে। তিনিও জানালেন কয়েক ধাপে পাঁচ হাজার টাকা খরচ করলেই প্রমাণপত্র ছাড়া যে কাউকেই নিবন্ধন করিয়ে দিতে পারবেন তিনি।
সত্যতা যাচাইয়ে, নিবন্ধন করতে না পারা এক বৈধ নাগরিককে নিয়ে যাওয়া হয় মনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যাম্পে। টাকা দেয়া হয় মাস্টার রোল কর্মচারী ওয়াদুদকে। এর পর পরই শুরু হয় নিবন্ধন প্রক্রিয়া। প্রমাণপত্র ছাড়াই নিবন্ধিত হন এই ব্যক্তি। পেয়ে যান নিবন্ধন স্লিপটিও। জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্টকার্ড পেতে এখন আর কোনো বাধা নেই তার।
এ ঘটনাকে অশনি সংকেত বলছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এই সুযোগ নিতে পারে মায়ানমারের রাখাইনে সহিংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গারা। জবাবে, কর্তৃপক্ষ বলছে, কাজের ব্যাপকতা ও লোকবল সংকটে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না এই কাজ।
তবে, এই তৎপরতায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কিছু কর্মকর্তারা জড়িত বলে ধারণা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এখনই নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা না গেলে ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়ে বড় ধরণের সংকটের আশঙ্কা করছেন তারা।