অনলাইন ডেস্ক:
আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইশতিয়াক আহমেদের সহযোগিতায় মায়ের কোলে ফিরে পেলো ৯ বছরের শিশু কন্যা শাহানা আক্তার তালিয়া। সেই সঙ্গে মা-বাবা ফিরে পেলো হারিয়ে যাওয়া তাদের প্রিয় সন্তানকে।
বুধবার (৫ জুলাই) বাবা শাহজাহান মিয়ার হাতে তার মেয়েকে তুলে দেয়া হয়। এ সময় পাশে ছিলেন শিশুটির মা। হারিয়ে যাওয়া সন্তানকে ফিরে পেয়ে তারা আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। সেই সঙ্গে ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য দোয়া করেন।
এর আগে গত ৪ জুলাই আড়াইহাজারের পায়রা চত্বর এলাকায় শিশুটি পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদের নির্দেশে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে রাখা হয়। সেখান থেকে শিশুটিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেই সঙ্গে আড়াইহাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাসুম বিল্লাহর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিশুটির পরিচয় সন্ধান করে পোস্ট করা হয়। একই সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়।
ফেসবুকে পোস্ট দেখে নরসিংদীর আলগী এলাকা থেকে শিশুটির মা তার বাবা শাহজাহানকে জানান। সেই সঙ্গে বাবা শাহজাহান আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করেন। সবশেষ তাদের সন্তানকে ফিরিয়ে নিয়ে যান।
শিশুটির বাবা শাহজাহান বলেন, আমার স্ত্রী ফেসবুকের মাধ্যমে আমার মেয়ের ছবি দেখিয়ে বলে আমার মেয়েকে পাওয়া গেছে। পরে সেখানে দেয়া নম্বরে যোগাযোগ করে আড়াইহাজারে এসে আমার মেয়ের সন্ধান পেয়েছি।
আড়াইহাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, শিশুটিকে পাওয়ার পর থেকেই আড়াই হাজার থানা পুলিশ, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এবং বিশেষ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সকলেই সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন শিশুটির পরিচয় খুঁজে পাওয়ার জন্য। সবশেষ সকলের সহযোগিতায় শিশুটিকে তার মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, অভিভাবকবিহীন অবস্থায় শিশুটিকে পাওয়া গিয়েছিলো। পরে এই বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রচার করার চেষ্টা করি। সেই সঙ্গে শিশুটিকে আমার তত্ত্বাবধানে রাখি।
ফেসবুক পোস্ট দেখে শিশুটিকে তার মা-বাবা শনাক্ত করেন। পরে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শিশুটিকে তার মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়। শিশুটির পরিচয় খুঁজে পাওয়ার জন্য সকলেই সহযোগিতা করেছেন বলে তিনি জানান।